ভবিষ্যৎ ডিজিটালের যুগ। করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ অনেক বেশি করে ডিজিটাল দুনিয়ার (Digital World) সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। বাড়ির বাজার থেকে ইলেকট্রিক বিল, শপিং এগুলি আর জেন ওয়াইয়ের মধ্যে আটকে নেই। ভবিষ্যতে ডিজিটাল মাধ্যম, আরও বৃহৎ আকার নেবে। এর পাশাপাশি মূল্যবান হবে, ডিজিটাল কন্টেন্ট। তা হতে পারে মিম, পেইন্টিং কিংবা ভিডিও। যাঁরা বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট বানাচ্ছেন তাঁরাই একদিন হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। তাঁদের সেই কন্টেন্ট কাজ করবে ডিজিটাল অ্যাসেট (Digital Asset) হিসেবে।
ডিজিটাল অ্যাসেট কী?
কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররা অনলাইন মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিজের যে কন্টেন্ট বানাচ্ছেন, তা যদি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছয়, জনপ্রিয়তা পায় তবে সেই শিল্পী বা ক্রিয়েটারের সেই কাজটি অ্যাসেট হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে, হতেই পারে কারও কন্টেন্ট চুরি গেল, এবং চুরি করা ব্যক্তিটি তা নিজের বলে দাবি করল, তবে কি সেই কন্টেন্ট তাঁর হয়ে যাবে? তা একেবারেই না। এর জন্য ব্যবস্থা রয়েছে NFT-র। এই NFT হল নন-ফানজেবল টোকেনস। এটির মাধ্যমে ডিজিটাল কপিরাইট তৈরি করা হয়। এটিকেও হাতে ধরা বা ছোঁয়া যায় না। NFT-তে শিল্পীর নিজের কাজটি সংরক্ষিত থাকলে ভবিষ্যতে কেউ নিজের বলে দাবি করতে পারবে না।
কোনগুলি ডিজিটাল অ্যাসেট হিসেবে গণ্য হবে?
ডিজিটাল অ্যাসেট হতে পারে ডিজিটাল পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি, লোগো, ইলাস্ট্রেশন, ই-মেল, ওয়েবসাইট, ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যম ইত্যাদি।
"Intel Developer Forum 2013"-এ Intel-এর উপস্থাপনায় তারা বেশ কিছু নতুন ধরনের ডিজিটাল অ্যাসেটকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, চিকিৎসা, শিক্ষা, ভোটদান,কথোপকথন ইত্যাদি।
NFT কীভাবে কাজ করে?
বেশিরভাগ NFT ইথেরিয়াম ব্লকচেইনের অংশ। Ethereum হল একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি, যেমন- বিটকয়েন বা ডোজকয়েন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররা তাঁদের শিল্পী কোডের মাধ্যমে NFT-তে সংরক্ষণ করতে পারে। যার থেকে ভবিষ্যতে ব্যাপক মুনাফা আসার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাকড়সার জালের মতো দেশ, বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। কিছু দেশে এর বৈধতা এখনও মেলেনি। ভারতে ক্রিপ্টোর ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত না পেলেও, এতে নিষেধাজ্ঞা নেই। গ্রাহক নিজের ঝুঁকিতে তা ক্রয় করতেই পারেন। তবে ডিজিটাল মাধ্যম বিশেষজ্ঞরা একেই ভবিষৎ বলে গণ্য করে।