TikTok-ই ভবিষ্যৎ, মানলেন ফেসবুক কর্তা জুকারবার্গও!

TikTok এর কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ফেসবুক। ভারতে TikTok নিষিদ্ধ হলেও আমেরিকায় খুব দ্রুত বিকাশ লাভ করছে এটি। মানুষ ফেসবুক ছেড়ে টিকটকে বেশি সময় ব্যয় করছে। এই পরিস্থিতিতে ফেসবুক এবং স্ন্যাপচ্যাট জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যত টিকটকের মতোই হবে। তবে এটি লক্ষণীয় যে ফেসবুক সবসময় অন্যান্য অ্যাপের বৈশিষ্ট্যগুলি অনুকরণ করে আসছে। TikTok আসার পর ফেসবুক একই ধরনের অনেক ফিচার চালু করেছে।

Advertisement
TikTok-ই ভবিষ্যৎ, মানলেন ফেসবুক কর্তা জুকারবার্গও!টিকটক/ প্রতীক ছবি
হাইলাইটস
  • TikTok এর কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ফেসবুক
  • ভারতে TikTok নিষিদ্ধ হলেও আমেরিকায় খুব দ্রুত বিকাশ লাভ করছে এটি
  • মানুষ ফেসবুক ছেড়ে টিকটকে বেশি সময় ব্যয় করছে

TikTok এর কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ফেসবুক (Facebook)। ভারতে TikTok নিষিদ্ধ হলেও আমেরিকায় খুব দ্রুত বিকাশ লাভ করছে এটি। মানুষ ফেসবুক ছেড়ে টিকটকে বেশি সময় ব্যয় করছে। এই পরিস্থিতিতে ফেসবুক এবং স্ন্যাপচ্যাট জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যত টিকটকের মতোই হবে। তবে এটি লক্ষণীয় যে ফেসবুক সবসময় অন্যান্য অ্যাপের বৈশিষ্ট্যগুলি অনুকরণ করে আসছে। TikTok আসার পর ফেসবুক একই ধরনের অনেক ফিচার চালু করেছে।

টিকটকের মতো রিল ফিচার ইন্সটাগ্রামেও (Instagram) আনা হয়েছিল। ফেসবুক অ্যাপেও ছোট ছোট ভিডিও তৈরির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ন্যাপচ্যাটের সিইও ইভান স্পিগেল বলেছেন, এই অ্যাপে থাকা ব্যবহারকারীরা স্টোরিতে কম সময় ব্যয় করছেন।

উল্লেখ্য, Snapchat-এ আগে শুধু স্টোরিই দেওয়া যেত। পরে ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়, যেগুলি খানিক পরেই অদৃশ্য হয়ে যায়। স্ন্যাপচ্যাটের এই বৈশিষ্ট্যটি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক অ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রামের জন্য মেটা দ্বারা অনুকরণ করা হয়েছিল। বলা যায়, অনুপ্রাণিত হয়ে ফেসবুক নিজের জন্য এই ফিচার তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন, মাত্র ৩ টাকার স্টকে বিনিয়োগ, বাম্পার ৭০০০% রিটার্নে কোটিপতি!

স্ন্যাপচ্যাট বনাম টিকটক 

স্ন্যাপচ্যাটেও টিকটকের মতো ছোট ভিডিও বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যাকে স্পটলাইট বলা হয়। ভাইরাল ভিডিও এখানে পোস্ট করা হয়। প্রিমিয়াম শোগুলির জন্য একটি বিভাগও রয়েছে। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার আগে যেভাবে মানুষ স্ন্যাপচ্যাট-এ সময় ব্যয় করত। এখন ততটা করে না। যদিও Snapchat এখনও বিশ্বাস রাখে, মহামারি শেষ হলে, মানুষ আবার এতে ফিরবে।

হুমকির মুখে ফেসবুক 

সম্প্রতি ফেসবুক জানিয়েছে, কোম্পানির বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। ১৮ বছরে প্রথমবার ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে, জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন এক মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী কমছে। মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গও টিকটককে নিজেদের জন্য হুমকি বলে মনে করেছেন। 

তবে বিষয়টি বেশ আকর্ষণীয়, কারণ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ফেসবুক এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সংস্থাগুলি টিকটককে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিবেচনা করছে। ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক অ্যাপে টিকটকের মতো বৈশিষ্ট্য দেওয়া সত্ত্বেও, সংস্থাটি টিকটক ব্যবহারকারীদের নিজের কাছে আমন্ত্রণ জানাতে ব্যর্থ হয়, তবে সংস্থাটির পক্ষে এটি সত্যিই কঠিন। তবে মেটাভার্স আসলে চিত্রটা কী হয়, তাই দেখার।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement