বিশ্ববিদ, লেখক ও মহাকাশ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার একটি বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে বিশাল সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি গুগল। এই বিশেষ ডুডলে একটি ভিডিও রয়েছে, যা স্টিফেন হকিংয়ের সমগ্র জীবনকে চিত্রিত করে। এর সাথে ভিডিওতে তার কাজের ঝলকও দেখা গেছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার আগে হকিং অক্সফোর্ড থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএ ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন। তিনি ব্ল্যাক হোল নিয়ে আবিষ্ট ছিলেন, যা তার অধ্যয়ন এবং গবেষণার ভিত্তি তৈরি করেছিল। ১৯৭৪ সালে, তিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে কণাগুলি ব্ল্যাক হোল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। এই তত্ত্বটি পদার্থবিদ্যায় তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে মনে করা হয়।
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্ম নেওয়া স্টিফেন হকিং শৈশব থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ২১ বছর বয়সের মধ্যে, তিনি অ্যামিওট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (ALS), একটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত হন। ALS রোগে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তারপর ধীরে ধীরে সারা শরীরের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে তিনি ধীরে ধীরে হুইলচেয়ারে আসেন। তখন চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তিনি দুই বছরের বেশি বাঁচতে পারবেন না। তিনি তার কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন, তারপরে তিনি বক্তৃতা তৈরিকারী ডিভাইসগুলির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে শুরু করেছিলেন। গুগল তাকে "ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী বৈজ্ঞানিক মনের একজন" হিসেবে বর্ণনা করেছে।
স্টিফেন হকিং তার দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি দিয়ে চিকিৎসকদের ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। সে সময় স্টিফেন হকিংয়ের মস্তিষ্ক ছাড়া শরীরের কোনো অঙ্গ কাজ করত না। তা সত্ত্বেও তিনি হাল ছাড়েননি এবং হয়ে ওঠেন একজন মহান বিজ্ঞানী। তিনি তার কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন, তাই বক্তৃতা তৈরিকারী ডিভাইসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে শুরু করেছিলেন। মহাকাশ বিজ্ঞানে তিনি বিরাট অবদান রেখেছিলেন। তার কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গুলারিটির তত্ত্ব, ব্ল্যাক হোলের তত্ত্ব, মহাজাগতিক স্ফীতি তত্ত্ব, মহাকাশ বিজ্ঞানের তরঙ্গ ফাংশন মডেল এবং টপ-ডাউন তত্ত্ব।