ভূমিকম্প আসার আগেই এবার মোবাইলে আসবে অ্যালার্ট। গুগল এই বিশেষ ফিচারটি এবার ভারতে চালু করছে। একটি ব্লগপোস্টে Google ঘোষণা করেছে যে এটি ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (NDMA) এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS), আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের (Ministry Of Earth Sciences) সহযোগিতায় অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম (Earthquake Alerts System) চালু করেছে। ভূমিকম্প হল একটি সাধারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই এই ফিচারটি জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। Android আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম (Android Earthquake Alerts System) অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলিতে থাকা সেন্সরগুলি ব্যবহার করে, যেগুলি অ্যাক্সিলোমিটার নামে পরিচিত। ব্লগ পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে অ্যাক্সিলোমিটারগুলি ক্ষুদ্র সিসমোমিটার হিসাবে কাজ করতে পারে।
এটি কীভাবে কাজ করবে
গুগল উল্লেখ করেছে যে যখন একটি প্লাগ-ইন এবং চার্জিং অ্যান্ড্রয়েড ফোন ভূমিকম্পের প্রাথমিক কম্পন শনাক্ত করে, তখন এটি একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে এই ডেটা পাঠায়। যদি একই এলাকায় একাধিক ফোন একই রকম কাঁপুনি শনাক্ত করে, তাহলে সার্ভার ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র এবং মাত্রা সহ ভূমিকম্পের বৈশিষ্ট্য অনুমান করতে পারে। পরবর্তীকালে, এটি দ্রুত কাছাকাছি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতে সতর্কতা পাঠায়। এই সতর্কতাগুলি আলোর গতিতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যায় আরও তীব্র কম্পনের কয়েক সেকেন্ড আগে। এই ফিচারটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই এটির ব্যবহার করতে পারেন। এই ফিচারটি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় পাওয়া যাবে।
কোন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতে পাওয়া যাবে এই ফিচার?
যে সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা নতুন ভার্সন রয়েছে সেই ফোনগুলিতে আগামী সপ্তাহে এই ফিচারটি পাবেন। ব্যবহারকারীদের Wi-Fi বা সেলুলার ডেটা কানেকশন থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম এবং লোকেশন সেটিংস অন করা আছে। যারা এই অ্যালার্টগুলি পেতে চান না, তাঁদের জন্য ডিভাইস সেটিংসে অ্যালার্ট বন্ধ করার অপশন রয়েছে। এছাড়াও যখন ব্যবহারকারীরা ভূমিকম্প সম্পর্কিত শব্দগুলি সার্চ করে, তখন তারা প্রাসঙ্গিক তথ্য পাবেন।