
ভারতের এসইউভি বাজারে একের পর এক নতুন মডেল এলেও, মারুতি সুজুকির জনপ্রিয় গ্র্যান্ড ভিটারাকে ঘিরে উঠেছে বড় প্রশ্ন। সংস্থাটি জানিয়েছে, মোট ৩৯ হাজারেরও বেশি গ্র্যান্ড ভিটারা গাড়ি কোম্পানি ফেরত ডাকছে। এর কারণ, গাড়িগুলির কিছু ইউনিটে প্রযুক্তিগত ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে।
মারুতি সুজুকির জমা দেওয়া নথি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে তৈরি হওয়া গ্র্যান্ড ভিটারার ফুয়েল গেজ বা স্পিডোমিটার অ্যাসেম্বলিতে সমস্যা ধরা পড়েছে। এই গড়বড়ির জেরে গাড়ির ফুয়েল লেভেল ইন্ডিকেটর এবং সতর্কতা বাতি কখনও কখনও প্রকৃত তেলের পরিমাণ দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে চালক বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
এই ত্রুটির জন্য মোট ৩৯,৫০৬টি ইউনিটকে রিকলের আওতায় আনা হয়েছে। মারুতি সুজুকি এবং তাদের অনুমোদিত ডিলাররা সরাসরি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। গাড়ির মালিকদের নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারে ডেকে পাঠানো হবে। সেখানে বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ানরা পরীক্ষা করে প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট অংশ বদলে দেবেন। এর জন্য কোনও খরচ লাগবে না।
কোম্পানির দাবি, এটি একধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। সময়মতো ব্যবস্থা নিয়ে গাড়ির নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে চাইছে তারা। গত কয়েক বছরে স্বেচ্ছায় রিকল নীতি গ্রহণ করার পর ভারতীয় গাড়ি নির্মাতারা নিরাপত্তা ও মানোন্নয়নে আরও সচেতন হয়েছে। মারুতি সুজুকিও সেই ধারারই অংশ।
গ্র্যান্ড ভিটারা মারুতির অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ কমপ্যাক্ট এসইউভি, যা টয়োটার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি। এতে স্ট্রং-হাইব্রিড ইঞ্জিন, অল-হুইল ড্রাইভ বিকল্প এবং আধুনিক ফিচার রয়েছে, যা শহুরে ও পারিবারিক ক্রেতাদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। সম্প্রতি জিএসটি সংস্কারের পর মারুতি গ্র্যান্ড ভিটারার দাম সর্বোচ্চ ১,০৭,০০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছে। বর্তমানে মডেলটির দাম শুরু হচ্ছে ১০.৭৭ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে, এবং টপ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১৯.৭২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
কোম্পানির দাবি, গ্র্যান্ড ভিটারার পেট্রোল ভ্যারিয়েন্ট প্রতি লিটারে ২১.১১ কিলোমিটার এবং সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট প্রতি কিলোগ্রামে ২৬.৬ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম।