শেষ হতে চলল ২০২৪। ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি। নতুন বছর ২০২৫। ২০২৫ সালে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহার আরও বাড়বে। এ পর্যন্ত তা কয়েকটি ফোনেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার এআই আরও বিস্তার লাভ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। স্বাভাবিকভাবেই মুঠোফোন হবে আরও উন্নত। সেই সঙ্গে এটাও বলে রাখা ভালো, আগামী বছর স্মার্টফোনের দামও বাড়বে।
আগামী বছর স্মার্টফোন কিনতে এ বছরের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হবে গ্রাহকদের। এর পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি, 5G প্রযুক্তি এবং AI ফিচার থাকবে ফোনে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী,২০২৪ সালে স্মার্টফোনের বিশ্বব্যাপী গড় বিক্রয়মূল্য ৩ শতাংশ বেড়েছে। সেটাই ২০২৫ সালে বাড়তে পারে ৫ শতাংশ। গ্রাহকরা আর সাধারণ ফোন কিনতে চাইছেন না। এখন প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। দুরন্ত প্রসেসর, দারুণ ক্যামেরা এবং AI-এর মতো ফিচার রয়েছে এই সব ফোনে।
AI-এর ব্যবহার স্মার্টফোনকে আরও ব্যয়বহুল করে দিয়েছে। তা আরও প্রিমিয়াম হয়ে উঠেছে। গ্রাহকরাও এআই ফিচার চাইছেন। আরও উন্নত সিপিইউ, এনপিইউ এবং জিপিইউ ক্ষমতা-সহ প্রসেসর তৈরিতে বিনিয়োগ করছে স্মার্টফোন নির্মাতারা।
কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদন বলছে, AI স্মার্টফোনের যুগে প্রবেশ করছি জেনারেটিভ AI-সহ ফিচারগুলির প্রবণতা বাড়বে। এর জন্য আরও শক্তিশালী প্রসেসরের প্রয়োজন হবে। স্বাভাবিকভাবে এর দাম হবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
শুধু হার্ডওয়্যার নয়, এআই ফিচারের কারণে সফটওয়্যার নিয়েও অনেক কাজ করতে হচ্ছে ফোন নির্মাতা সংস্থাগুলিকে। সফটওয়্যার আরও জটিল হয়ে ওঠা। এআই অ্যালগরিদম যুক্ত হওয়ার কারণে স্মার্টফোনের দামও বাড়বে। তবে গ্রাহকরা পাবেন দুর্দান্ত স্মার্টফোন।
একটি প্রিমিয়াম স্মার্টফোন কিনতে গ্রাহকদের আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। নতুন ফিচার চালুর কারণে এই বর্ধিত দাম। ভোক্তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এই ফিচারগুলি তাঁদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে কতটা দরকারি। বর্তমানে অনেকেরই এই ফিচারগুলি কোনও কাজে আসছে না। স্মার্টফোন কেনার সময় গ্রাহকদের খেয়াল রাখতে হবে কোন কোন ফিচারের জন্য তাঁরা কতটা বেশি খরচ করবেন।