এখন সবার হাতেই স্মার্টফোন। অ্যাপেল থেকে স্যামসং, ভিভো, অপো, এমআই থেকে শুরু করে একাধিক সংস্থার স্মার্টফোন এখন ঘোরে হাতে হাতে। আর এই সব ফোনের একটা জিনিস কমন। আর সেটি হল এগুলির ব্যাটারি আর আপনি খুলতে পারবেন না। পোশাকি ভাষায় যাকে বলে নন রিম্যুভাবেল ব্যাটারি।
প্রসঙ্গত, একটা সময় স্মার্ট ফোনের ব্যাটারি অনায়াসে খোলা যেত। তবে বেশ কিছু বছর এই সুযোগ নেই। আর এই ট্রেন্ডটা সব সংস্থাই ফলো করছে। যার ফলে এখন আর ফোনের ব্যাটারি খুলে ফেলার অপশন গ্রাহকদের কাছে নেই। কিছু সমস্যা হলেই দৌড়াতে হয় সার্ভিস সেন্টার।
তবে প্রশ্ন হল, হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল স্মার্টফোন সংস্থাগুলি? কেন তারা ফোনের ব্যাটারি খুলতে দিতে চায় না? এমনটা হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। যেমন ধরুন-
ফোন স্লিম হয়েছে
আগে ফোনের ব্যাটারি খোলা যেত। আর সেই কারণে ফোনের পিছনে ফিট করতে হতো ব্যাক প্যানেল। সেই কারণে ফোনটা মোটা দেখাত। তবে এই সমস্যার সমাধান করা গিয়েছে নন রিম্যুভাবেল ব্যাটারির মাধ্যমে। এর ফলে এখন আর ব্যাক প্যানেল বসানোর প্রয়োজন পড়ছে না। তাই ফোন হয়ে গিয়েছে স্লিম। ওজন কমেছে ফোনের।
ওয়াটার এবং ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স
আগেকার ফোনগুলিতে জল ঢোকার একটা আশঙ্কা থাকত। যার ফলে খারাপ হয়ে যেতে ফোন। তবে বর্তমান নন রিম্যুভাবেল ব্যাটারির ফলে এই সমস্যার সমাধান করা গিয়েছে। এমনকী এই ধরনের ব্যাটারি আসার পর থেকে ফোনে ধুলো ঢোকার আশঙ্কাও অনেকটাই কমেছে এক ধাক্কায়।
বেশি জায়গা মিলছে
আগে ব্যাটারি বের করা যেত। তার ফলে জায়গা লাগত বেশি। তবে এখন রিম্যুভাবেল ব্যাটারির জন্য সেই জায়গাটা লাগে না। তার বদলে সেখানে হাই এন্ড ক্যামেরা থেকে শুরু করে একাধিক সেন্সর এবং বড় ব্যাটারি ব্যবহার করা যায়।
সিকিউরিটি বাড়ানো গিয়েছে
আগে ফোন চুরি হলেই ব্যাটারি খুলে সুইচ অফ করে দেওয়া যেত। তবে এখন আর সেই কাজটা সহজে করা যায় না। আর সেটাও সম্ভব হয়েছে রিম্যুভাবেল ব্যাটারির সৌজন্যে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে বেড়েছে সিকিউরিটি।
ফোনের কোয়ালিটি বেড়েছে
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে বর্তমানে রিম্যুভাবেল ব্যাটারির জন্য ফোনের কেস অনেক বেশি শক্তপোক্ত বানানো সম্ভব হচ্ছে। ফোনের ব্যাক প্যানেলেও করা যাচ্ছে কারুকার্য। যার ফলে ফোন দেখতে লাগছে দারুণ।