অনলাইনের দুনিয়ায় জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইউটিউব। সহজে নিখরচায় ভিডিও কনটেন্ট দেখার জন্য ইউটিউবের জুরি মেলা ভার। তবে ইদানীং ইউটিউবে এমন অনেক অশ্লীল কনটেন্ট ঘিরে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে এবার নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে ইউটিউব।
কী এই ব্যবস্থা
জানা গিয়েছে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে ইউটিউব। ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট তৈরির সময় অনেক অল্পবয়সীরাই নিজেদের বয়স লুকোন। ফলে তারা সহজেই ইউটিউবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি কনটেন্ট দেখতে পান। এই পরিস্থিতি রুখতেই এআই-এর সাহায্য নিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে ইউটিউব।
কবে থেকে কার্যকর
চলতি বছরের ১৩ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় এআই-এর সাহায্যে ব্যবহারকারীদের বয়স শনাক্তকরণ করা হবে। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে সব ব্যবহারকারীকে এই আতসকাচের তলায় আনা হবে। এক জন ব্যবহারকারীর বয়স ১৮ বছরের কম কি না, তা যাচাই করতেই এমন ব্যবস্থা।
অনলাইনের যুগে আজকাল অনেক কম বয়সীরাও নানা ধরনের ভিডিও দেখছেন। সকলের হাতেই স্মার্টফোন চলে এসেছে। তাই নাবালকদের সুরক্ষার্থে অনলাইন সংস্থাগুলিকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তা দিচ্ছে নানা মহল। অনলাইনে ক্ষতিকারক বা আপত্তিকর কিছু কনটেন্ট যাতে অপ্রাপ্তবয়স্করা দেখতে না পান, সেই নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ইউটিউবের এমন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য।
কী ধরনের কনটেন্ট এক জন ব্যবহারকারী মূলত দেখেন, কী ধরনের ভিডিও বেশি দেখেছেন কোনও ব্যবহারকারী, তা বোঝার চেষ্টা করবে ইউটিউবের এআই ব্যবস্থা। যদি কোনও ব্যবহারকারীর বয়স ১৮-এর কম হয়, তবে তার ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। উল্লেখ্য, অনেকেই রয়েছেন, যারা অ্যাকাউন্ট তৈরির সময় ভুল বয়স উল্লেখ করে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনায়াসে কনটেন্ট দেখেন। তা ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ইউটিউব।