সব বাড়িতেই প্রায় প্রতি মাসে কিছু না কিছু ওষুধ কেনা হয়। এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের ওষুধের উপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকতে হয়। অনেকেই তাই স্থানীয় দোকান বা অনলাইন থেকে প্রায় প্রতি মাসে ওষুধপত্র কেনেন। কিন্তু ওই সব ওষুধপত্র জাল বা নকল কিনা কি করে বুঝবেন?
অনেকেই ভাবতে পারেন, ওষুধের কারবারী বা চিকিৎসক ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে ‘খাঁটি’ ওষুধ চেনা সম্ভব নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নকল ওষুধ চিনে নেওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘WHO’-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, জাল বা নকল ওষুধ চেনার উপায়গুলি জেনে নিন...
বড়ি, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের মতো ওষুধের ক্ষেত্রে সেটির কোথাও কোনও অংশ ভাঙা রয়েছে কিনা, স্বচ্ছ ক্যাপসুলের ভিতরে থাকা ওষুধের গুঁড়োর পরিমাণ আগের তুলনায় কোনওটায় কম বা বেশি আছে কিনা বা ওষুধের রঙে কোনও ফারাক আছে কিনা তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও ওষুধের মোড়কের আকার-আকৃতি, তার রং, বানান ইত্যাদি সবই ভাল করে দেখে নিতে হবে।
টনিক, সিরাপের মতো বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে বোতলের প্যাকেজিং বা সিল-এ কোথাও কোনও গলদ (আকার-আকৃতি, মোড়কের রং, বানান ইত্যাদি সবই দেখে নিতে হবে) আছে কিনা, তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। কোনও রকম পার্থক্য, ত্রুটি বা সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই ওই ওষুধ বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিন।
যে কোনও ওষুধের মোড়কের গায়ে তার ‘Unique Authentication Code’ লেখা থাকে। ওষুধ কেনার পর সেটির সম্পর্কে মনে কোনও রকম সন্দেহ দানা বাঁধলে, ওষুধের ‘Unique Authentication Code’ ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে SMS করুন। ওই ওষুধটি যেখানে তৈরি, সেখান থেকে আপনি একটি Authentication মেসেজ পেয়ে যাবেন। এটি দেখেই বোঝা যাবে এই ওষুধ ‘খাঁটি’ কিনা!