ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের করোনা সংক্রমণ! দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ চলছে জানুয়ারি থেকেই। এখনও দেশের একটা বড় অংশেরই করোনার টিকা নেওয়া হয়নি। কারণ, পয়তাল্লিশের কম যাঁদের বয়স, তাঁদের গণটিকাকরণের কথা ঘোষণা করেনি কেন্দ্র।
ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার, ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ১ হাজারের বেশি মানুষের। এই পরিসস্থিতিতে পয়তাল্লিশের কম বয়সীদের গণটিকাকরণের সরকারি ছাড়পত্র এখনও না মেলায় বাড়ছে চিন্তা!
একই কারণে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি। কারণ, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এ রাজ্যের প্রায় ৭৭.৩ শতাংশ বাসিন্দার বয়স ৪৫ বছর বা তার কম। সংখ্যার হিসেবে দেখতে গেলে প্রায় ৭ কোটি ৬ লক্ষ।
বর্তমানে ওই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলেই অনুমান করা যেতে পারে। তার উপর এ রাজ্যে চলা বিধানসভা নির্বাচন চলছে। নির্বাচন কমিশনের থেকে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, এ বার ভোট দিচ্ছেন রাজ্যের প্রায় ৭ কোটি ৩৩ লক্ষ ভোটার। করোনা সংক্রমণের আবহে যা আরও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
মহারাষ্ট্র-সহ পাঁচ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। বাংলার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক! সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ রাজ্যের মোট জনসংখ্যার মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক, ভোটকর্মী এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা করোনার টিকা পেয়েছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সব বয়স মিলিয়ে ৮৩ লক্ষ ৪৪ হাজার রাজ্যবাসি করোনা টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক, ভোটকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ। তবে পর্যাপ্ত টিকার অভাবে এ রাজ্যে করোনার টিকাকরণের গতি বিগত কয়েকদিনে কিছুটা কমেছে।
তবে বুধবার ৩ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ এসে পৌঁছেছে এ রাজ্যে। সূত্রের খবর, আজ রাত ১০টা নাগাদ আরও ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের ডোজ এসে পৌঁছাবে বাংলায়। ফলে ফের রাজ্যের করোনা টিকাকরণে গতি আসতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ২০ শতাংশ করোনা রোগীর বয়স ৪৫ বছর বা তার কম। ফলে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র না মেলায় রাজ্যের সকলকে করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত করা যাচ্ছে না এখনই!