বাঙালির পাতে মাছ পড়লে আর কিছু চাইনা। ভাতের পাতে তা-ও আবার যদি ইলিশ পড়ে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা! পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়ায় বাজারে ইলিশের চাহিদা বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। বেড়েছিল দামও।
তবে বছরের এই সময়টায় ইলিশের চাহিদা সে ভাবে থাকে না বাজারে। ইিমঘরে মাসখানেক রাখা মাছ কম দামে পেলেও কিনতে চান না অনেক ক্রেতাই। তবে বর্ষার টাটকা মাছ বাজারে উঠতে এখনও ঢের দেরি।
তবে মাছ যেমনই হোক না কেন, জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে ইলিশ তো দিতেই হবে। না হলে, পঞ্চব্যঞ্জনে পাত ভরলেও মন ভরবে না যে! অগত্যা বাজারে থাকা ইিমঘরের ঠাণ্ডা ইলিশই জামাইষষ্ঠীর পাতে পড়তে চলেছে।
একেক জেলায় ইলিশের দর একেক রকম। তবে দামের ফারাক মোটামুটি শ’দেড়েক টাকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক জামাইষষ্ঠীর আগে বাজারে ইিমঘরের ঠাণ্ডা ইলিশের দাম কত যাচ্ছে...
এখনও নাগালের মধ্যেই রয়েছে ইলিশের দর। খাসির মাংসের দামে এখনও পাতে তোলা যাচ্ছে প্রমান মাপের ইলিশ। হাওড়া, শিয়ালদহ, পাতিপুকুরের পাইকারি মাছ বাজারে ইলিশের দর মোটামুটি একই রকম।
পাতিপুকুরের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, ৫০০-৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৬৫০-৭০০ টাকা কিলো। এই ওজনের মাছের বিক্রিই সবচেয়ে বেশি। কিছু বাজারে ৩০০-৪০০ গ্রামের ছোট ইলিশও রয়েছে, যার দাম ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি।
এছাড়াও মোটামুটি ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের পাইকারি দাম এখন ১২০০-১৪০০ টাকা টাকা কেজি। ১ কেজির বেশি ওজনের মাছ বাজারে তেমন একটা নেই। থাকলেও তার দাম ১৬০০-২০০০ টাকা কেজি।
তবে এই দামই জামাইষষ্ঠীর সপ্তাহে আরও কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন শহরের মাছ ব্যবসায়ীরা। সেই সময় ইলিশের চাহিদা থাকবে তুঙ্গে। তাই প্রতি ক্ষেত্রেই দাম ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।