গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতিবারই বাড়তি লোকাল ট্রেন আর বাস চালানো হয়। এ বারেও এই উপলক্ষে ১২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি শিয়ালদহ থেকে নামখানা, কাকদ্বীপের মধ্যে ৬৭টি অতিরিক্ত লোকাল চালাবে পূর্ব রেল।
গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে অতিরিক্ত ১৬০০ বাস চালাবে রাজ্য সরকার। মেলার সময়ে তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য রাজ্য পরিবহণ নিগমের ৭৭০টি বাস চালানো হবে। পাশাপাশি SBSTC অতিরিক্ত প্রায় ৯০০টি বাস চালাবে৷
এ বারে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে Antigen Rapid Test-এর ব্যবস্থা, অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল, পৃথক সেফ হোম, অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স এমনকি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এ বারের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জরুরি ভিত্তিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রেখেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গতকাল এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থাকার ফলে সাগরমেলায় অসুস্থ হয়ে পড়া তিন রোগীকে দ্রুত হাওড়ায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসাবে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। বায়ো মেডিকেল বর্জ্য নিষ্পত্তি করার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসাবে এ বারই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রী, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য মোট ৫১৫টি শয্যা বিশিষ্ট ৬টি অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে৷ মেলা চত্তরের বিভিন্ন অংশে মোট ১০২টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে।
গঙ্গাসাগর মেলা বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত কর্মীদের মধ্যে করোনার কোনও রকম উপসর্গ দেখা দিলে, তাঁদের কাকদ্বীপে একটি পৃথক ‘সেফ হোম’-এ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷