সর্ষের চাষে কম সময়ে, উচ্চফলন পেতে আধুনিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের কৃষকরা।
কম সময়ে, উচ্চফলন পেতে মাইক্রো পট পদ্ধতিতে সর্ষের চাষ করছেন বারুইপুরের কৃষকরা। এই পদ্ধতিতে পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছের চারা সহজেই রক্ষা করা সম্ভব। বাঁচবে চাষের সময়ও। মাইক্রো পট পদ্ধতিটি আসলে কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
মাইক্রো পট পদ্ধতিতে চারা তৈরির জন্য সর্ষের বীজগুলি ছোট ছোট টবে রোপণ করা হয়। পরে টবে চারা বেড়ে উঠলে সেগুলিকে জমিতে রোপণ করা হয়। মাইক্রো পট পদ্ধতিতে চাষের সুবিধাগুলি সম্পর্কে এ বার জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমত, যেখানে মাটি ভেজা বা জল নামতে দেরি হয়, সেই জমিতে মাইক্রো পট পদ্ধতিতে চাষ করা খুবই কার্যকর!
দ্বিতীয়ত, মাইক্রো পট পদ্ধতিতে সর্ষে চাষের ফলে আমন আর বোরো চাষের জন্য বাড়তি সময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। মাইক্রো পট পদ্ধতিতে চারা তৈরির জন্য সর্ষের বীজগুলি আগে থেকেই ছোট ছোট টবে রোপণ করা যেতে পারে। বোরো চাষের পর জমি খালি হলে সর্ষের চারাগুলি সেখানে রোপণ করা যেতে পারে।
তৃতীয়ত, শীতের শেষে ঠাণ্ডা কমে এলে সর্ষে গাছে বিশেষ ধরণের পোকা হয়। এটি চাষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর! কিন্তু মাইক্রো পট পদ্ধতিতে ছোট ছোট টবে চারা তৈরি করলে সে ক্ষেত্রে পোকামাকড় তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।