নতুন বাজেটে দেশের আয়করদাতারা ৫০,০০০ টাকা থেকে ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। এমনটাই গুঞ্জন সংশ্লিষ্ট মহলে। কারণ, আয়কর পরিকাঠামো অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন আয়কর পরিকাঠামোয় কর ছাড়ের পর্যায়গুলিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
নতুন পরিকাঠামোয় আয়করের রেট কমলেও পুরনো ব্যবস্থার নির্দিষ্ট কিছু ছাড় বা সুবিধে করদাতাদের ত্যাগ করতে হতে পারে।
নয়া কর ব্যবস্থাকে দ্রুত দেশের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে চাইছে কেন্দ্র। তাই আসন্ন বাজেটে নতুন কাঠামোর কর ছাড়ের পর্যায়গুলিতে এমন কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, যাতে করদাতাদের কর প্রদানের পরেও আগের তুলনায় অধিক পরিমাণে অর্থ হাতে থাকে।
বর্তমান আয়কর পরিকাঠামো অনুযায়ী, বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কোনও আয়কর দিতে হয় না। বার্ষিক আয় আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ। ৫ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার মধ্যে যাঁদের বার্ষিক আয়, তাঁদের ১০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়।
সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষের মধ্যে বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়। যাঁদের বছরে ১০ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা উপার্জন, তাঁরা ২০ শতাংশ কর দেন। যাঁদের বার্ষিক উপার্জন সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তাঁদের ২৫ শতাংশ আয়কর দিতে হয়।
যাঁদের বার্ষিক উপার্জন ১৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি, তাঁদের ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। উল্লেখিত আয় করের স্ল্যাবগুলি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের সমস্ত করদাতার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।