করোনার মহামারীর ফলে সাধারণ মানুষ আর্থিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। করোনার চিকিৎসা করাতে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যায় হয়েছে তা সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার তথ্য সামনে এসেছে। আর ওই তথ্য রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো!
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া এবং আমেরিকা ভিত্তিক ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউট-এর যৌথভাবে পরিচালিত সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে আইসিইউ-তে রেখে করোনার চিকিৎসা করাতে যা খরচ হচ্ছে, তা ভারতীয়দের ৭ মাসের গড় আয়ের সমান!
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, এই সমীক্ষা এখনও প্রি প্রিন্ট পর্যায়ে রয়েছে। এই ব্যয়ের হিসাব এই সমীক্ষায় ভারতীয়দের গড় ব্যয়ের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া এবং আমেরিকা ভিত্তিক ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউট-এর যৌথভাবে পরিচালিত সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে আইসিইউ-তে রেখে করোনার চিকিৎসার খরচ দেশের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের (নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র শ্রেণি) গড় ব্যয়ের নিরিখে প্রায় ১৫ মাসের সমান।
এই সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরির জন্য পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া এবং আমেরিকা ভিত্তিক ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউট কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে দেশের করোনা চিকিৎসার খরচ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে।
এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করোনার পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য ৬৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। যদিও দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশের মানুষ এই বিপুল খরচ বহন করতে পারেন না।
এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসপাতালে আইসিইউ-তে রেখে করোনার চিকিৎসার খরচ দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ দিনমজুর, নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র শ্রেণির মানুষের বার্ষিক আয়ের চেয়েও বেশি। পাশাপাশি এই খরচ দেশের মধ্যবিত্ত বেতনভোগীদের ৫০ শতাংশ এবং স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত দুই তৃতীয়াংশ মানুষের বার্ষিক আয়ের তুলনায় বেশি।