রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া ডিএ ৩ মাসের মধ্যে দিতে হবে। বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা (DA) নিয়ে চলা মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে বেতন বৃদ্ধি হতে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের।
এপ্রিলেই ৩ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারিদের। এদিকে গত বছরই রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ডিএ বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-এর ফারাক বিস্তর।
মহার্ঘ্য ভাতার পরিমাণগত ফারাকে বেতনের অঙ্কতেও কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ফলে প্রাপ্য বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতেই ২০১৬ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (SAT) মামলা করা হয়, আজ যার ঐতিহাসিক রায় ঘোষিত হল।
কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক কতটা? ২০১৬ সালে যখন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (SAT) মামলা করা হয়, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, তখন ৩২ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা বকেয়া ছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের।
বর্তমানে কেন্দ্র সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাইনে পাচ্ছেন। মাঝে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের মহার্ঘ্য ভাতা (DA) বাড়ানো হলেও এখনও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা এখন থেকে ৩১ শতাংশ কম মহার্ঘ ভাতা পান।
অর্থাৎ, যে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের মাসিক বেতন ন্যূনতম ১৭ হাজার টাকা, কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের তুলনায় তাঁদেরই বার্ষিক ক্ষতি বা বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৬৩ হাজার ৫৮০ টাকা।
এর আগে ২০১৫ সালে যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৭ শতাংশ DA বাড়ানো হয়েছিল, তখনও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক ছিল ৪৯ শতাংশ। বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক কমে ৩১ শতাংশে নেমেছে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক কমলেও কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর রাজ্যের প্রায় ৪৭,৬৮,০০০ কর্মী এবং ৬৮,৬২,০০০ পেনশনভোগীর মাথাপিছু বকেয়া মেটাতে রাজ্যের কোষাগার থেকে বিপুল অর্থ খরচ হতে চলেছে।