২০২১-এ পরপর IPO খোলার ফলে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন যে, কোনটিতে বিনিয়োগ করা উচিৎ আর কোনটায় টাকা না ঢাললেও চলবে! কোন IPO-তে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক হতে পারে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মানুষের মনে!
IPO-Initial Public Offering এর সংক্ষিপ্ত রূপকে IPO বলা হয়। IPO-কে প্রাইমারি মার্কেটও বলা হয়। বিনিয়োগে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তোলার আরেক নামই IPO। এবার বাজার থেকে ১,৯০০ কোটি টাকা তুলতে IPO আনতে চলেছে MobiKwik!
এ বছরই সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজারে IPO আনতে চলেছে ভারতীয় ডিজিটাল ওয়ালেট এবং পেমেন্ট স্টার্টআপ সংস্থা MobiKwik! সেই জন্য ইতিমধ্যেই তাদের IPO প্রসপেক্টাস-এর খসড়া সিস্টেমস সিকিওরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ায় (SEBI) জমা দিয়েছে সংস্থা।
IPO-র মাধ্যমে MobiKwik বাজার থেকে যে ১৯০০ কোটি টাকা জোগার করার পরিকল্পনা করছে তার মধ্যে ১,৫০০ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ার এবং ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার 'অফার অফ সেল' (OFS)-এর জন্য বরাদ্দ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
MobiKwik-এর শেয়ারে Sequoia Capital এবং Bajaj Finance Limited-এর একটা বড় অংশ রয়েছে। মোবাইলের রিচার্জ থেকে শুরু করে বিদ্যুতের বিল দেওয়া— প্রায় সব রকম আর্থিক লেনদেনই এই ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে হয়। প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ আর্থিক লেনদেন হয় MobiKwik-এর প্ল্যাটফর্ম থেকে।
প্রায় ৩০ লক্ষ ব্যবসায়ী MobiKwik ব্যবহার করেন এবং দেশজুড়ে প্রায় ১০.৭ কোটি ব্যবহারকারী এই ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের পরিষেবা নেন। MobiKwik-এ Sequoia Capital এবং Bajaj Finance লিমিটেডের বিনিয়োগ রয়েছে।