এ কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, অজানা নেই যে, Petrol, Diesel-এর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হল সরকারের চাপানো কর ও শুল্ক।
সাধারণ মানুষকে পেট্রোল পাম্প থেকে যে দামে Petrol, Diesel কিনতে হয় তার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশই হল কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারি শুল্ক-কর!
শেষ ৫০ দিনে পেট্রোলের দাম বেড়েছে ১১ টাকা ৫২ পয়সা। জুলাই মাসে মোট ৯ বার বেড়েছে পেট্রোলের দাম আর ৫ বার ডিজেলের দাম বেড়েছে! ১৭ জুলাই দাম বাড়ার পর থেকে দেশে পেট্রোল-ডিডেলের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি রাজ্যসভার অধিবেসনে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে জানান, বিগত এক বছরে জ্বালানির উপর কর বাড়ানো হয়নি। অথচ এপ্রিল, ২০২০-র পর থেকে এখনও পর্যন্ত পেট্রোলের দাম লিটারে বেড়েছে ৩২ টাকা!
তাহলে কী ভাবে এক বছরে লিটারে ৩২ টাকা বাড়ল পেট্রোলের দাম! পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জানান, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি, পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরা বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি এবং রাজ্য সরকারের চাপানো ভ্যাটের কারণে দাম বেড়েছে তেলের।
সোমবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম যাচ্ছে ১০২ টাকা ০৮ পয়সা আর ডিজেল প্রতি লিটারে ৯৩ টাকা ০২ পয়সা। এর মধ্যে কেন্দ্র-রাজ্যের করের পরিমাণ ৫৬ টাকা ১৬ পয়সা৷ কেন্দ্রের কর ৩২ টাকা ৯০ পয়সা, রাজ্যের কর ১৯ টাকা। এর সঙ্গে জুড়ছে ডিলারের কমিশন বাবদ ৩ টাকা ৪৬ পয়সা৷
বর্তমানের পেট্রোপণ্যের মূল্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার পেট্রোলে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা ও ডিজেলে ৩১ টাকা ৮০ পয়সা কর এবং সেস নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এর মধ্যে রাজ্য সরকারেও ভাগ রয়েছে। তেলের উপর ধার্য কর এবং সেস-এর মধ্যে রাজ্য সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলে পাচ্ছে ১৮ টাকা ৪৬ পয়সা আর ডিজেলে লিটার পিছু পাচ্ছে ১২ টাকা ৫৭ পয়সা।
মোদী সরকার ২০১৪ সালে যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, তখন পেট্রোলে উৎপাদন শুল্ক ছিল প্রতি লিটারে ৯ টাকা ৪৮ পয়সা আর ডিজেলের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুল্ক ছিল ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। এখন ওই শুল্ক বেড়ে হয়েছে পেট্রলে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা এবং ডিজেলে ৩১.৮০ টাকা।