গত বছরের অগাস্টে, প্রতি ১০ গ্রাম সোনা রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫৬,২০০ টাকা পৌঁছেছিল। তবে অগাস্টের পর থেকে সোনার দামে ক্রমাগত পতন অব্যাহত।
এখন পর্যন্ত অগাস্টের পর থেকে সোনার দাম প্রায় ১১ হাজার টাকা কমে গিয়েছে। দেশীয় বাজারে সোনার দাম ৪৫ হাজার টাকার নিচে নেমেছে।
বাস্তবে, ২ মার্চ সোনার ফিউচারের দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৪৪,৭৬০ টাকায় পৌঁছেছে। ৩ মার্চ সোনার ফিউচারের দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৪৫,৫০০ টাকায় পৌঁছেছে।
দেশীয় বাজারে সোনার দামের ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। বুধবার বাজারে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৪৪,৩৭০ টাকা (১০ গ্রাম), ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৪৫,৩৭০ টাকা (১০ গ্রাম)।
২০২১ বছর সোনার জন্য এখনও ভাল হয়নি। ১ জানুয়ারি থেকে সোনা ৫,৫৪০ টাকারও বেশি সস্তার হয়ে গিয়েছে। ১ জানুয়ারি, প্রতি ১০ গ্রামে সোনা ছিল ৫০,৩০০ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার চাহিদা হ্রাস, সোনার মন্দার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামের পতনের কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে, প্রতি আউন্স সোনার দাম ১,৭১৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব বাজারে ফিউচার গোল্ড অনুযায়ী, এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৩৩ মার্কিন ডলার।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমণ ২০২১-২২-এর বাজেটে সোনা ও রূপাতে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হ্রাস করার ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে, সোনা ও রূপাতে ১২.৫% আমদানি শুল্ক দিতে হবে। এই ছাড়ের পরে এখন কেবলমাত্র ৭.৫% আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। যার কারণে দাম কমছে।
মঙ্গলবার রূপাও প্রতি কেজি ১,৮৪৭ টাকা কমে ৬৭,০৭৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সোমবার, রুপোর দাম কেজি প্রতি ৬৮,৯২০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল। বুধবার রূপার দাম কিছুটা বেড়ে গেলেও কেজি প্রতি দাম ছিল ৬৭,৯০০ টাকা।
লক্ষণীয় বিষয়, গত বছর বিনিয়োগকারীদের অভূতপূর্ব রিটার্ন দিয়েছে সোনা। করোনার সঙ্কটের মাঝামাঝি সময় থেকে যেখন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল, তখন সোনার দাম বেড়েছিল।