বর্তমানে প্রায় সমস্ত স্কুলেই নতুন সিলেবাসের প্রেক্ষিতে বই-খাতার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই স্কুল ব্যাগের ওজনও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ভারি স্কুল ব্যাগের চাপে শৈশব তার স্বাচ্ছন্দ্য হারাচ্ছে।
অতিরিক্ত ভারি স্কুল ব্যাগের চাপে শিশুর শরীরের গঠন, বাড়-বৃদ্ধি পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে! তাই সেই চাপ থেকে পড়ুয়াদের নিস্তার দিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সম্প্রতি ২০২০-র ‘স্কুল ব্যাগ নীতি’ প্রকাশ করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যাগের ওজন কোনও ভাবেই পড়ুয়াদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হওয়া চলবে না। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে ব্যাগের ওজন ১.৬ কেজি থেকে ২.২ কেজির বেশি হওয়া চলবে না।
একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন মোটামুটি ৩৫ কেজি থেকে ৫৮ কেজির মধ্যে ঘোরাফেরা করে। নতুন নিয়মে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন সাড়ে ৩ কেজি থেকে ৫ কেজির বেশি হওয়া চলবে না।
স্কুল ব্যাগের বোঝা কমানোর পাশাপাশি এই নিয়মে পড়ুয়াদের উপর থেকে হোমওয়ার্কের বোঝাও কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে সর্বাধিক ২ ঘণ্টার হোমওয়ার্ক দেওয়া যেতে পারে।