
ভারতে বড়, দামী, প্রচুর তেল খাওয়া বাইক বিক্রি হয় না। ঠেকে শিখেছে হার্লে ডেভিডসন। তাই সময়ের সঙ্গে নিজেকে পাল্টাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি। আর সেই কারণেই ভারতীয় বাজারে X440 T লঞ্চ করেছিল সংস্থা। দাম ২.৭৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। কিন্তু এরও যে দাম বড় বেশি! সরকার সম্প্রতি ৩৫০ সিসির বেশির বাইকে জিএসটি বাড়িয়েছে। তাতে অনরোড অনেকটাই দাম বেড়ে যাচ্ছে। উপায়?

এবার ছোট ইঞ্জিন এবং কম ট্যাক্সের সেগমেন্টের দিকে নজর দিচ্ছে হার্লে-ডেভিডসন।

সূত্রের খবর, ভারতীয় বাজারের জন্য একেবারে নতুন ৩৫০ সিসি বাইকের উপর কাজ শুরু করেছে আমেরিকান সংস্থা।

বাইক অ্যাডভাইজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্লে-ডেভিডসন তাদের ভারতের বিজনেস পার্টনার হিরোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৩৫০ সিসি ইঞ্জিনের একটি বাইক তৈরি করছে।

৩৫০ সিসির হলেই তা কম ট্যাক্স স্ল্যাবের মধ্যে পড়বে। সব কিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই নতুন ইঞ্জিন রেডি হয়ে যেতে পারে।

৪৪০ সিসির বাইকের ফ্রেম, পার্টসই থাকবে। খালি ইঞ্জিনটা ছোট করতে হবে। সেই সঙ্গে রি-টিউন করা। খুব একটা বড় চ্যালেঞ্জ নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাঁদের মতে, এই নতুন মোটরসাইকেলটি ভারতীয় বাজারে হার্লে-ডেভিডসনের সবচেয়ে সস্তার বাইক হতে পারে।

যদিও লঞ্চের আগে দাম নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা কঠিন। তবে জল্পনা, এই বাইকের দাম ২ লক্ষ টাকা বা তারও কম হতে পারে।

যদি হার্লে-ডেভিডসন সত্যিই ২ লক্ষ টাকার নিচে এই বাইক বাজারে আনে, তা নিঃসন্দেহে একটা বড় ব্যাপার হবে।

এই ৩৫০ সিসি সেগমেন্টের রাজা রয়্যাল এনফিল্ড। আর সেই একই সেগমেন্টে হার্লে ডেভিডসন এলে যে বিশাল কম্পিটিশন হবে, তা বলাই বাহুল্য। মধ্যবিত্তরাও যে হার্লে ডেভিডসন চড়বে, তা আগে কখনও কল্পনা করেছিলেন?