করোনা মহামারির কারণে বিমা বা ইনসিওরেন্সের গুরুত্ব বুঝেছেন অনেকেই। তাই এখন হয়তো আর কেউই বিমাকে ‘অপচয়’ বা ‘বাজে খরচ’ বলে মনে করেন না।
২০২০-র শেষে Google সার্চে সবচেয়ে বেশি খোঁজ করা হয়েছে বিমা বা ইনসিওরেন্সের খুঁটিনাটি বিষয়ে। এমনই নানা বিপর্যয় থেকে সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে বিমা বা ইনসিওরেন্সের কথা ভাবছেন প্রায় সকল মা-বাবাই।
করোনার ভয়াবহতা যত বেড়েছে, জীবনবিমার গুরুত্বও তত বুঝেছেন সাধারণ মানুষ। লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (LIC) একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। এর নাম বিমা জ্যোতি (Bima Jyoti) স্কিম। এটি একটি পৃথক, অংশীদারিত্বহীন, ব্যক্তিগত সঞ্চয় প্রকল্প।
এই পরিকল্পনাটি LIC এজেন্টের মাধ্যমে বা অনলাইনে LIC ওয়েবসাইট থেকে দেখা বা কেনা যাবে। এই বিমা জ্যোতি (Bima Jyoti) স্কিমে প্রতিটি বছরের শেষে মূল বিনিয়োগের অর্থের প্রতি ১০০০ টাকায় অতিরিক্ত ৫০ টাকা যোগ করা হবে।
প্রকল্পটি একই সাথে সঞ্চয় এবং সুরক্ষা উভয়ই নিশ্চিত করে। এই স্কিমের ম্যাচুরিটির সময়ে একসঙ্গে সমস্ত অর্থ প্রদান করবে। এই বিমা জ্যোতি (Bima Jyoti) স্কিমে পলিসিধারীর মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে।
বিমা শুরুর তারিখের পরে পলিসি চলাকালীন মৃত্যুর ক্ষেত্রে, পলিসির শর্তাবলী অনুযায়ী "মৃত্যুর উপরে বিমা" এবং গ্যারান্টি সহকারে অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।
LIC একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে, এই বিমা জ্যোতি (Bima Jyoti) স্কিমের আওতায় ন্যূনতম ‘বেসিক ফিক্সড’ অর্থ হবে এক লক্ষ টাকা, এর কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।
গ্রাহকরা ১৫ থেকে ২০ বছরের জন্য এই বিমা জ্যোতি (Bima Jyoti) পলিসি নিতে পারেন। এই বিমা জ্যোতি (Bima Jyoti) পলিসির প্রিমিয়াম প্রদানের মোট সময়কাল এই পলিসির মোট মেয়াদ থেকে ৫ বছর বাদ দিয়ে হিসাব করা হবে।
বিমা জ্যোতি (Bima Jyoti) পলিসির প্রিমিয়াম বাৎসরিক ভিত্তিতে, অর্ধ বাৎসরিক ভিত্তিতে, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বা মাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা যেতে পারে। নগদ প্রয়োজন মেটাতে এই নীতিমালায় ঋণের সুবিধাও পাওয়া যায়।