আগামী ১ মে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। কারণ, ওই দিন থেকেই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের করোনার টিকাকরণ! বর্তমানে পয়তাল্লিশের বেশি বয়সীদের করোনার টিকাকরণ চলছে!
দেশের প্রায় ১০ হাজার সরকারি হাসপাতাল আর ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চলবে করোনার এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া। CoWin অ্যাপের সাহায্যে সহজেই নিকটবর্তী টিকাকেন্দ্র ও টিকা নেওয়ার দিন বেছে নেওয়া যাবে।
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার টিকাকরণ চলছে। আগামী ১ মে দেশজুড়ে গণটিকাকরণ শুরুর আগেই নতুন একটি করোনার টিকাকরণ কেন্দ্র চালু হয়ে গিয়েছে নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-১ এলাকায় বিজি ব্লকের টার্মিনাস বিল্ডিংয়ে।
তবে মে মাস থেকে শুরু হতে চলা গণটিকাকরণে গতি আনতে আরও ১০টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, ১ মে অন্তত দু-তিনটি, ও পরে ধাপে ধাপে বাকি ৭-৮টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার।
বর্তমানে কলকাতা পুরসভা পরিচালিত ১৪২টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার টিকাকরণ চলছে। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতিদিন এই সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রায় ২২ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া চলছে।
কিন্তু ৫ মে-র পর থেকে করোনার টিকাকরণে চাপ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। আর ওই বাড়তি চাপ সামাল দিতেই আরও ১০টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য পুরসভা প্রায় সাড়ে পাঁচশো স্বাস্থ্যকর্মীকে কাজে লাগাতে চায়। এই স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
মে মাস থেকে শুরু হতে চলা গণটিকাকরণে বাড়তি চাপ সামলাতে শহরের একাধিক অডিটোরিয়াম আর কমিউনিটি হলকে কাজে লাগাতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। একসঙ্গে অন্তত ২৫০-৪০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা যায়, এমনই বড় জায়গা খুঁজছে পুরসভা।