সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছে এমন একটি জীবানু যা পরবর্তী মহামারীর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে! বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই জীবানুটি মানুষের শরীরে কোনও ভাবে সংক্রমিত হলে মৃত্যু হতে পারে লক্ষাধিক মানুষের!
সম্প্রতি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে একটি Superbug-এর খোঁজ পেয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সুপারবাগের পোশাকি নাম ক্যান্ডিডা অরিস (Candida Auris) বা C Auris।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আশঙ্কা, এই ক্যান্ডিডা অরিস (Candida Auris) কোনও ভাবে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হলে তা দ্রুত মহামারির আকার নিতে পারে! এর ভয়াবহতা এতটাই যে, এক বছরেই প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কাড়তে পারে এই C Auris।
কীসের ভিত্তিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিপুল সংখ্যক প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন? ওই গবেষকদের দাবি, এই ক্যান্ডিডা অরিস (Candida Auris) বাজার চলতি প্রায় সমস্ত ওষুধ প্রতিরোধী। তাই এর সংক্রমণ ঠেকানো এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে প্রায় অসম্ভব!
এই ক্যান্ডিডা অরিস (Candida Auris) কি নতুন কোনও ভাইরাস? দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, এটি আসলে এক ধরনের ছত্রাক। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মোট ৮টি এলাকা থেকে ৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করে এর খোঁজ মিলেছে।
সাগরপাড়ের পাথুরে এলাকায়, লবণাক্ত জলাভূমিতে এই প্রাণঘাতী ছত্রাকের আধিক্যের প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জনাকীর্ণ অংশে ক্যান্ডিডা অরিসের (Candida Auris) অস্তিত্বই নতুন করে মহামারির আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে গবেষকদের মনে।
আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে, ২০০৯ সালে জাপানে প্রথম এই ক্যান্ডিডা অরিসের (Candida Auris) অস্তিত্বের সন্ধান মেলে। পরবর্তীকালে ব্রিটেন-সহ কয়েকটি দেশের সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে বিজ্ঞানীরা এই প্রাণঘাতী ছত্রাকের খোঁজ পেলেও ভারতে এই প্রথম পাওয়া গেল ক্যান্ডিডা অরিস।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, লবণাক্ত জলাভূমিতে যে ক্যান্ডিডা অরিসের (Candida Auris) দেখা মেলে, তার চরিত্র অপেক্ষাকৃত শুকনো, পাথুরে জায়গায় পাওয়া ছত্রাকের চেয়ে অনেকটাই আলাদা।