গত ৫ মে থেকে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৬ মে থেকে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের শর্ত সাপেক্ষে ওঠার অনুমতি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাঙ্ককর্মী ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যু্ক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রমাণপত্র দিয়ে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি মিলেছে।
গত বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। ওই দিন সাংবাদিকদের তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের করোনার টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়।
ফলে লোকাল ট্রেন চলছে বটে, তবে পরিষেবা এখনও আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি। তাই ট্রেনের সংখ্যা কম। নিত্যযাত্রীদের চাপ প্রতিদিন বাড়ছে। ফলে নিয়ম ভেঙে অনেক পুরুষ যাত্রী মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় উঠ পড়ছেন।
নিয়মের তোয়াক্কা না করে রোজ বিভিন্ন স্টেশনে হুরমুড়িয়ে মহিলা কামরায় উঠে পড়ছে প্রচুর পুরুষযাত্রী। এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ট্রেনে সফররত মহিলাদের নিরাপত্তা। প্রতিদিন এই নিয়ে প্রচুর অভিযোগ যাচ্ছে রেলের কাছে।
এবার নিয়ম ভেঙে মহিলা কামরায় উঠে পড়লেই পুরুষ যাত্রীদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। অভিযানও চালাচ্ছে আরপিএফ। তবে এ বার মহিলা যাত্রীদের নিরাপক্ষা সুনিশ্চিত করতে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পূর্ব রেল। আরপিএফকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।