সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতিতে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের নয়া দাম ঘোষণার পরই সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে টিকা পাওয়ার দিন ফুরিয়েছে সাধারণ মানুষের।
নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, ১ মে থেকে করোনার টিকা কোভিশিল্ডের এক একটি ডোজের দাম সরকারি হাসপাতাল থেকে নিলে পড়বে ৪০০ টাকা (যা এতদিন মিলছিল বিনামূল্যে) আর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিলে জিএসটি এবং পরিষেবামূল্য সহ পড়বে প্রায় ৭০০ টাকা (যা এতদিন মিলছিল ২৫০ টাকায়)।
এর পরই রাজ্য বিজেপির তরফে সম্প্রতি একটি ট্যুইট করে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে সবাইকে করোনার টিকা বিনামূল্যেই দেওয়া হবে। যদিও, গতকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ৫ই মে থেকে রাজ্যে একেবারে বিনমূল্যেই টিকাকরণ শুরু হবে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড বাদ দিলেও কেন্দ্রের থেকে কোভ্যাক্সিন পাবে সব রাজ্যই। কিন্তু হিসাব করে দেখা গিয়েছে, কোটা বাবদ প্রাপ্য ভ্যাকসিনের যতগুলি ডোজ রাজ্য পাবে, তাতে সকলের টিকাকরণ কোনও মতেই সম্ভব নয়!
তাই ভ্যাকসিন কিনে গণটিকাককরণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। কারণ, প্রতিটি ডোজ ৪০০ টাকা করে কিনতে হবে রাজ্যকে।
তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর নির্ধারিত বাজেট থেকে গণটিকাকরণের জন্য নতুন করে বিশেষ তহবিল গড়তে হবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ সমস্ত রাজ্যগুলিকেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী দিনে রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে করোনার টিকা দিতে রাজ্যসরকারকে অতিরিক্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার দায়ভার নিতে হবে।
এ তো গেল সরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা নেওয়ার খরচের হিসাব। কিন্তু রাজ্যের অনেরকেই এতদিন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ২৫০ টাকায় টিকা নিচ্ছিলেন। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকাকরণের খরচও প্রায় আড়াই গুন বেড়ে যাচ্ছে!