পার্সোনাল লোনের ইন্টারেস্ট রেটহাতে যে সবসময় টাকা থাকবে, এমনটা নয়। তবে টাকার জন্য কি পড়ে থাকবে শখ-আহ্লাদ বা এমার্জেন্সি? না, এগুলি কিছুই পড়ে থাকবে না। আর সেই কারণেই অনেকে পার্সোনাল লোন নেন। এই ঋণের মাধ্যমেই শখ মেটান বা এমার্জেন্সি সামাল দেন।
তবে মুশকিল হল, পার্সোনাল লোনের সুদের হার অনেকটাই বেশি। তাই এই ঋণ নেওয়ার সময় সাবধান হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব সুদের হার কমানো যায়।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে সুদের হার কমানো সম্ভব হবে? সেই উত্তরটা জানতে পড়ুন নিবন্ধটি।
ক্রেডিট স্কোর বাড়ান
মাথায় রাখবেন, পার্সোনাল লোন হল একটি আনসিকিয়োর্ড লোন। তাই এই ঋণের ইন্টারেস্ট রেট অনেকটাই বেশি হয়। মোটামুটি ১২ শতাংশ থেকেই শুরু হয় ইন্টারেস্ট রেট। তারপর আরও উপরের দিকে যায়। তাই ইন্টারেস্ট রেট কমানোর চেষ্টা করতেই হবে।
সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে নিজের ক্রেডিট স্কোর বাড়ান। মাখায় রাখবেন এই স্কোর যত বেশি থাকবে, লোনের সুদের হার থাকবে তত কম। ব্যাঙ্ক আপনাকে ভরসা করে টাকা দিতে পারবে।
এখানে বলে রাখি, ক্রেডিট স্কোর মোটামুটি ৭৫০-এর উপরে থাকা ভাল। আর সবথেকে ভাল হয়, ৮০০-এর উপর ক্রেডিট স্কোর থাকলে। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। আবার অপরদিকে ৭০০-এর নীচে যদি নেমে যায় ক্রেডিট স্কোর, তাহলে স্কোর অনেকটাই কমে যেতে পারে। তাই এই বিষয়টা প্রথমেই মাথায় রাখুন।
বেশি লোন নেবেন না
অনেকেই একাধিক লোন নেন। তাদের আয়ের সঙ্গে ঋণের ভারসাম্য থাকে না। আর এমন পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক আবার নতুন করে লোন দেওয়ার রিস্ক পায় না। আবার লোন দিতে হলেও সেটা বেশি ইন্টারেস্টে দেয়। তাই চেষ্টা করুন একাধিক লোন না নেওয়ার। তাতেই সমস্যার ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
একাধিক ব্যাঙ্কে যান
লোনের ইন্টারেস্ট কমাতে চাইলে একাধিক ব্যাঙ্কে যাওয়া মাস্ট। সেখানে গিয়ে ইনকুয়ারি করে ফেলুন। তারপর ট্যালি করে দেখুন কোন ব্যাঙ্ক আপনাকে কম সুদে লোন দিচ্ছে। সেখান থেকেই ঋণ নিন। তাহলেই হাতে খেলা ঘুরে যাবে। আপনার হাতে থাকবে বেশি টাকা।
পরিশেষে বলি, পার্সোনাল লোন যতটা সম্ভব কম নেওয়ার চেষ্টা করুন। আর একান্তই যদি নিতে হয়, তাহলে ঠিক সময়ে দিন ফেরত। তাতে বাড়তি টাকা খরচ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।