ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কম কেন?ব্যাঙ্কে টাকা থাকা খুবই জরুরি। নইলে জীবনে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। প্রয়োজনের সময় হাতে নাও থাকতে পারে টাকা। তখন নিতে হবে লোন। এমনকী অনেক সময় সেটাও সময়ে না পেতে পারেন।
তবে মুশকিল হল, এত সমস্যা থাকার পরও অনেকের হাতে কোনও টাকাই থাকে না। এমনকী ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও জিরো হয়ে যেতে পারে।
তাই আপনাকে নিজের ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং ঠিক রাখতে হবে। কিছু ভুল এড়িয়ে যেতে হবে। আর সেগুলি সম্পর্কে জানতে পড়তে থাকুন-
বাজেট না রাখা
অনেকেই বাজেট করেন না। তারা কোনও দিকে না তাকিয়েই খরচ করেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের হাতে টাকা থাকে না। তাই এখন থেকে মাসের শুরুতেই একটা বাজেট করে নিন। সেই বাজেট অনুযায়ী চলুন। তার থেকে বেশি খরচ করবেন না। ব্যাস, তাহলেই দেখবেন খেলা ঘুরে যাবে। আপনার ব্যাঙ্কে জমবে টাকা।
হঠাৎ কিছু কিনে ফেলা
অনেকেরই কেনার শখ। তারা হুটহাট বড়বড় সব জিনিস কিনে ফেলেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিপদ বাড়ে। তাদের হাতে টাকা থাকে না।
তাই পরিস্থিতি খারাপ দিকে যাওয়ার আগেই সাবধান হন। ফালতু কোনও জিনিস কিনবেন না। কিনতে হলে একটু প্ল্যান করে নিন। সেই মতো টাকা জমিয়ে কিনুন।
সব ইএমআই
ঋণ নিতে এখন আর কেউ ভয় পায় না। ছোটখাট লোন থেকে বড় লোন নেওয়া এখন দুধভাত হয়ে গিয়েছে। আর সেই লোনের ইএমআই দিতে গিয়েই হাতের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তাই এমন পরিস্থিতিতে সাবধান হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যেন তেন প্রকারেণ লোন না নেওয়ার। তাতেই দেখবেন হাতে থাকবে টাকা।
আয় না বাড়ানো
প্রতিবছর বাড়ছে খরচ। মুদ্রাস্ফিতির জন্য অবস্থা খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে খরচ বেড়ে গেলেও অনেকের আয় বাড়ছে না। আর সেই কারণেই হাতে টাকা থাকছে না।
তাই নিজের ভাল চাইলে এখন থেকে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করুন। তাহলেই হাতে টাকা থাকবে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কেও টাকা থাকবে।
বিনিয়োগ না করা
শুধু জমাতে যাবেন না। তার বদলে বিনিয়োগ করুন। এসআইপি করুন বা অন্য কোথাও ইনভেস্ট করুন। সেটা না চাইলে আপনি অনায়াসে এফডি করতে পারেন। তবে জমাতেই হবে টাকা। চেষ্টা করুন সেভিংসের অভ্যাস তৈরি করার। তাতেই ব্যাঙ্কে জমবে টাকা। সেই টাকা আপনার কাজে লাগবে।