পার্সনাল লোন ইন্টারেস্টহাতে সবসময় টাকা থাকবে, এমনটা ভাবা উচিত নয়। তাই বিপদে পড়লেই অনেকে পার্সোনাল লোন নেন। টাকা ধার নিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেন। আবার অপরদিকে এর উল্টো ভাবনার মানুষও রয়েছেন। তারা সাধারণত নিজের স্বপ্নপূরণ করতে নিয়ে নেন পার্সোনাল লোন।
তবে মাথায় রাখতে হবে, লোন নেওয়ার সময় সবার ইন্টারেস্ট রেট কিন্তু এক হয় না। বরং কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে সুদের হার থাকে অনেকটাই বেশি। আর এমনটা হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই পার্সোনাল লোন নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে এই বিষয়টা জেনে নিতেই হবে যে কেন কিছু মানুষকে বেশি সুদ দিতে হয়।
ক্রেডিট স্কোর কম থাকা
অনেকেই লোন নিতে তো চলে যান। কিন্তু নিজের ক্রেডিট স্কোরের দিকে তাকান না। আর সেটাই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে ক্রেডিট স্কোর কম হলেই রয়েছে বিপদ। এর জন্য বাড়তে পারে ইন্টারেস্ট রেট। বিশেষত, ৭০০-এর কম যদি থাকে ক্রেডিট স্কোর, তাহলে বাড়বে সুদ। উল্টো দিকে ৮০০-এর উপরে যদি স্কোর থাকে, তাহলে সুদের হার কমবে।
আনস্টেবল ইনকাম
সাধারণত ব্যাঙ্ক চায় যাদের ফিক্সড অ্যানুয়াল ইনকাম রয়েছে, তাদের লোন দিতে বেশি পছন্দ করে। অন্যদিকে যাদের আয় নিয়মিত নয়, তাদের পার্সোনাল লোন দেওয়ার সময় একটু সাবধান থাকে তারা। এমন পরিস্থিতিতে ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে দেয়।
কোনও ক্রেডিট হিস্ট্রি না থাকা
আগে কখনও লোন নেওয়ার ইতিহাস না থাকলে ব্যাঙ্ক আপনার বিষয়ে কোনও তথ্যই পায় না। তারা বুঝতে পারে না আপনি টাকা ঠিকঠাক ফেরত দিয়েছেন কি না। আর এটাই সমস্যার কারণ। সেই কারণে বাড়তে পারে সুদের হার। তাই সাবধান হয়ে যান।
লোনের সময় কমলেও বাড়তে পারে ইন্টারেস্ট
অনেকেই কম সময়ের জন্য লোন নেন। আর এমন পরিস্থিতিতেও ব্যাঙ্ক একটু সুদের বাড়িয়ে দেয়। ব্যাঙ্ক নিজের স্বার্থেই এই কাজটা করে। তাতে তাদের আয় বাড়ে। তাই কম সময়ের জন্য ঋণ নিতে হলে একবার সুদের হারটা অবশ্যই চেক করে নিন। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।
ইতিমধ্যেই একাধিক লোন চলছে
কিছু মানুষ একাধিক লোন নেন। আয়ের একটা বড় অংশই তারা ইএমআই দেন। আর এমন ব্যক্তি যদি আবার পার্সোনাল লোন নিতে যান, তখন ব্যাঙ্ক হাই ইন্টারেস্ট রেট অফার করতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই সাবধান হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে নিজের মাথায় বেশি ঋণের বোঝা না চাপানোর। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।