প্রতীকী ছবিকেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা অষ্টম বেতন কমিশনের এরিয়ারের টাকার অপেক্ষা করছেন। তবে এই টাকা কি নতুন বছরের শুরুতেই আসবে? তা এখনও পরিশ্কার নয়। ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে অষ্টম বেতন কমিশনের টাকা কি পাওয়া যেতে পারে? নাকি কর্মচারীদের তাদের বর্ধিত বেতন বা অতীতের বকেয়া পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে?
১ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখকে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কিন্তু সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করেনি। এর ফলে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা চিন্তায় রয়েছেন।
সংসদে সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের বিষয়টি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও তোলা হয়েছিল। এর জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, সরকার উপযুক্ত সময়ে অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের তারিখ নির্ধারণ করবে। তিনি আরও বলেন, কমিশনের সুপারিশ গৃহীত হওয়ার পর এর জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট করা হবে। এই বিবৃতি থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকার শীঘ্রই এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, তবে ১ জানুয়ারি থেকে বকেয়া টাকা দেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
অষ্টম বেতন কমিশন কখন বাস্তবায়িত হবে?
২০২৫ সালের নভেম্বরে, সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের শর্তাবলী অনুমোদন করে। কমিশনকে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৮ মাস সময় দেয়। এই প্রেক্ষাপটে, কমিশনের প্রতিবেদন ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি এলে সরকারের সুপারিশগুলি পর্যালোচনা করা হবে। এর পরে, নতুন ভ্যান কাঠামোর মন্ত্রিসভার অনুমোদন এবং বিজ্ঞপ্তি পেতে আরও তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। তাই, এটি পরে বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কর্মচারীদের বেতন কত বৃদ্ধি পেতে পারে?
যদি ২.০ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়, তাহলে একটি অনুমানের মাধ্যমে বেতনের পরিবর্তন বোঝা যাবে।
যদি একজন কর্মচারীর মূল বেতন ৭৬,৫০০ টাকা হয়, মহার্ঘ্য ভাতা ৪৪,৩৭০ টাকা হয় এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা ২২,৯৫০ টাকা হয়, তাহলে মোট মাসিক বেতন ১,৪৩,৮২০ টাকা হয়। বেতন সংশোধনের পর, মূল বেতন আনুমানিক ১৫৩,০০০ টাকা এবং এইচআরএ আনুমানিক ৪১,৩১০ টাকায় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে মোট মাসিক বেতন আনুমানিক ১৯৪,৩১০-এ টাকায় পৌঁছবে।