এক পুকুরে মাছ ও মাখানা চাষ করুন একসঙ্গে, দেদার রোজগার, জানুন সহজ পদ্ধতি

এক পুকুরে মাছ ও মাখানা চাষ করুন একসঙ্গে, দেদার রোজগার, জানুন সহজ পদ্ধতি। উত্তরপ্রদেশের এক কৃষক গ্রামের পুকুরটি চাষের জন্য খুব কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছিলেন। এতে তিনি মাখানার চাষ শুরু করেন। এর পাশাপাশি দেশি মাগুর মাছও এতে লালন-পালন করছেন। অনেক কৃষকের জন্য এটি অনুপ্রেরণা দেয়।

Advertisement
এক পুকুরে মাছ ও মাখানা চাষ করুন একসঙ্গে, দেদার রোজগার, জানুন সহজ পদ্ধতিmakhana farming

 

উত্তরপ্রদেশের এক কৃষক গ্রামের পুকুরটি চাষের জন্য খুব কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছিলেন। এতে তিনি মাখানার চাষ শুরু করেন। এর পাশাপাশি দেশি মাগুর মাছও এতে লালন-পালন করছেন। অনেক কৃষকের জন্য এটি অনুপ্রেরণা দেয়।

আসলে, বিহারের দারভাঙ্গা জেলা দেশে মাখানা উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে এখন উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়াতেও এর চাষ শুরু হয়েছে। জেলার গাদেরে বসবাসকারী এক কৃষক গ্রামের পুকুরে স্বর্ণ বৈদেহী জাতের মাখানা চারা রোপণ করেন। একই সঙ্গে একই পুকুরে মাখানার পাশাপাশি দেশি মাগুর প্রজাতির মাছও লালন-পালন করা হয়েছে। দেশি মাগুর মাছে খুব বেশি co2 এর প্রয়োজন হয় না। এ কারণে পুকুরে মাখানার পাশাপাশি এটি করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে তথ্য দেন ডিএম 

এই বিষয়ে দেওরিয়া জেলার ডিএম অখন্দ প্রতাপ সিং জানিয়েছেন যে তাকে এখানে পোস্ট করার সময় তিনি জানতে পেরেছিলেন যে এটি একটি বন্যা দুর্গত এলাকা। এ জেলার ৩০ হাজার হেক্টর জমি নিচু ও তলিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এখানকার আবহাওয়া অনেকটা মিথিলার মতোই। তাহলে এখানে মাখানা চাষ করা যাবে না কেন?

এলাকার জমি তলিয়ে যাওয়ায় সারা বছর এখানে একটি মাত্র ফসল চাষ হয়। তবে এখানকার কৃষকরাও দুই ফসল চাষ করতে পারবে। এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। ডিএম এলাকার অনেক কৃষককে ডেকে তাদের সামনে মাখানা লাগিয়ে দেন এবং নিজেও সাহায্য করেন।

মাখনা ও মাছ চাষ একসঙ্গে করা যায়: বিশেষজ্ঞ ড আজতকের সঙ্গে আলোচনায় মাখনা চাষের বিশেষজ্ঞ ডাঃ ডিএন পান্ডে জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসে কৃষক গঙ্গা শরণ শ্রীবাস্তবের মাছ চাষ কেন্দ্রে মাখানার একটি নার্সারী স্থাপন করা হয়। নার্সারিতে চারা তৈরি হওয়ার পর তা রোপন করা হয়।

তিনি বলেন, দুটি মাখানা গাছের মধ্যে দূরত্ব দুই মিটার হওয়া উচিত কারণ এর পাতার আকার প্রায় এক মিটার। গাছে ফুল আসতে তিন মাস সময় লাগে। যেখানে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ফসল তৈরি হবে। মাখানার পাশাপাশি এতে মাছ চাষও করা যায়। এতে করে এখানকার খামারিদের আয় বাড়বে বলে বাজারে মাগুর প্রজাতির মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement