সাম্প্রতিক সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলের ক্ষতি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ চাষিরা আবহাওয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের বিপর্যস্ত কৃষকরা এর সমাধান খুঁজে পেলেন। সিহোরের কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেঁয়াজ চাষ করেছেন, যার ফলে তারা প্রচুর লাভ পাচ্ছেন। কারণ এই প্রযুক্তির দাম কম এবং শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না।
প্রকৃতপক্ষে, মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলার কৃষকরা নতুন প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ চাষের প্রচার করছেন। এ কৌশলে কম খরচে ও কম জলে পেঁয়াজ চাষে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
কেন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজন ছিল?
রফিগঞ্জ গ্রামের কৃষক রাজেন্দ্র পারমার জানান, তিনি মোট ৫ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন। আমরা গত ২ বছর ধরে এই নতুন প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ চাষ করে আসছি। এতে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামে কৃষিকাজের জন্য পর্যাপ্ত জল নেই, শ্রমিকও পাওয়া যায় না। এজন্য নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজন ছিল। চাষিরা বলছেন, এতে খরচ কম, লাভ বেশি এবং তেমন শ্রমিকেরও প্রয়োজন নেই।
এটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেঁয়াজ চাষের পদ্ধতি
নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পেঁয়াজ চাষের জন্য ক্ষেত লাঙ্গল দিয়ে রোদে ১ মাস রেখে দেওয়া হয়। এরপর বাখার ও রটার ভেজিয়ে ঢাল তৈরি করে ডিএপি দিয়ে বীজ বপন করা হয়। সময়ে সময়ে জল ছিটিয়ে ডিএপি স্প্রে করা হয়।
১ একরে ১৮০ কুইন্টাল পেঁয়াজের ফলন
কৃষকদের মতে, এক একর থেকে প্রায় ১৭০ থেকে ১৮০ কুইন্টাল পেঁয়াজ পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, এ বছর তার জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে অনেক কৃষক নতুন প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন।