
জাতিগত শংসাপত্র পাওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকেই জানেন না, এই শংসাপত্র মহকুমা শাসকের দফতর থেকে মিলবে নাকি জেলাশাসকের দফতরে যেতে হবে। সেই বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে এবার স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করল আলিপুরদুয়ার মহকুমা শাসকের দফতর।
মহকুমা শাসকের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আলিপুরদুয়ার মহকুমার বাসিন্দাদের জাতিগত শংসাপত্র সরাসরি এই দফতর থেকেই প্রদান করা হবে। তবে শংসাপত্র পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায় নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করেছেন।
চাকরির বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা কিংবা স্কুল, কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে জাতিগত শংসাপত্র অপরিহার্য। এই শংসাপত্র পেতে প্রথম ধাপে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট পোর্টাল থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে আবেদনকারীদের।
কী কী রাখতে হবে?
অনলাইনে আবেদন সম্পূর্ণ হলে সেই ফর্মের হার্ড কপি সঙ্গে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি পরিবারের অভিভাবকের বাৎসরিক আয়ের প্রমাণপত্র, আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং জন্ম শংসাপত্র জমা দিতে হবে। এই সমস্ত নথি নিয়ে সরাসরি আলিপুরদুয়ার মহকুমা শাসকের দফতরে হাজির হতে হবে আবেদনকারীকে।
মহকুমা শাসকের দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, সপ্তাহের সোম, বুধ ও শুক্রবার শংসাপত্র সংক্রান্ত হিয়ারিং করা হয়। ওই দিনগুলির প্রথমার্ধে ওবিসি (OBC) শংসাপত্রের আবেদনকারীদের শুনানি নেওয়া হয়। দ্বিতীয়ার্ধে এসসি (SC) এবং এসটি (ST) শংসাপত্রের আবেদনকারীদের হিয়ারিং অনুষ্ঠিত হয়।
সব নথি সঠিক থাকলে এবং হিয়ারিং প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলে সাধারণত দু’সপ্তাহের মধ্যেই জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদনকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে, যেন কোনওরকম দালাল বা ভুয়ো তথ্যের ফাঁদে না পড়েন এবং নির্ধারিত নিয়ম মেনেই আবেদন করেন।