মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীদের চাহিদা একটাই। লাভ কিছুটা কম হোক, কিন্তু লোকসান যেন একেবারেই না হয়। আর সেই কারণেই পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিম এদেশে এত জনপ্রিয়। বাজারের অনিশ্চয়তার সময়েও পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে নিশ্চিত রিটার্ন এবং কর ছাড়ের বেনিফিট পাবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক পোস্ট অফিসের কোন স্কিমে কী সুবিধা রয়েছে।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা:
এই স্কিমের ন্যূনতম বিনিয়োগ ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বার্ষিক বিনিয়োগ ১.৫ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে ৮.২০ শতাংশ সুদের হার দেওয়া হয়। প্রত্যেক কন্যা সন্তানে পিছু একটি করে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এছাড়াও, আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে কর ছাড়ের সুবিধাও মেলে। তবে কন্যা সন্তানের বয়স ১০ বছর বা তার কম হতে হবে।
সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিম:
এই স্কিমে ন্যূনতম বিনিয়োগ ১,০০০ টাকা এবং সর্বাধিক বিনিয়োগ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা যায়। ৫ বছরের মেয়াদী এই প্রকল্পে ৮.২০ শতাংশ হারে সুদ মেলে। ন্যূনতম বয়সসীমা হল ৬০ বছর। আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে কর ছাড়ের সুবিধাও উপলব্ধ।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ):
পিপিএফ স্কিমে ন্যূনতম ৫০০ টাকা এবং সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক বিনিয়োগ করা যায়। ৫ বছরের আমানতে ৭.১০ শতাংশ সুদের হার রয়েছে। এই স্কিমের মেয়াদ ১৫ বছর। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, রিটার্ন পুরোপুরি করমুক্ত এবং ৮০সি ধারার অধীনে কর ছাড়ও পাওয়া যায়।
কিষাণ বিকাশ পত্র (কেভিপি):
কেভিপিতে ন্যূনতম বিনিয়োগ ১,০০০ টাকা। এখানে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই। ৫ বছরের আমানতে ৭.৫০ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। বিনিয়োগের আড়াই বছর পর এটি এনক্যাশ করা সম্ভব। তবে, এই স্কিমে কোনো কর ছাড়ের সুবিধা নেই।
৫ বছরের এনএসসি:
ন্যূনতম ১,০০০ টাকা বিনিয়োগে শুরু করা যায় এই স্কিম। সর্বাধিক বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই। এখানে ৫ বছরের আমানতে ৭.৭০ শতাংশ সুদ মেলে। এই স্কিমে ৮০সি ধারার অধীনে কর ছাড় পাওয়া যায় এবং টিডিএস কাটা হয় না।
ডাকঘরের এই স্কিমগুলি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থিতিশীল রিটার্ন এবং কর ছাড়ের সুযোগ দেওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য দারুণ বিকল্প হয়ে উঠেছে। নিয়মিত বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত অর্থভাণ্ডার গড়ে তোলা সম্ভব।
দ্রষ্টব্য: রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক। এগুলি সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা সুপারিশ নয়।