scorecardresearch
 

চলতি অর্থবর্ষে বদলাবে অর্থনীতির হাল? নজরে নির্মলার বাজেট ২০২১

পয়লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ চলতি অর্থবর্ষের জন্য বাজেট ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সঙ্গে আলোচনা করছে অর্থমন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের আশা যে এই অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক পরিকাঠামোকে সুদৃঢ় করতে এবং সাম্যতা বজায় রাখতে সরকার নিজেদের ব্যয় বৃদ্ধি করবে।

Advertisement
২০২১-২২ অর্থবর্ষে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি আসবে কি না সে আশায় বুক বেধেছে দেশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি আসবে কি না সে আশায় বুক বেধেছে দেশ।
হাইলাইটস
  • ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কেবল তলানিতে নয়
  • নেগেটিভে নেমেছে ভারতের জিডিপি
  • এবারে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি আসবে কি না সে আশায় বুক বেধেছে দেশ

জিডিপি পতন ছিলই, কিন্তু শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছিল করোনা অতিমারী এবং লকডাউন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কেবল তলানিতে নয়, নেগেটিভে নেমেছে ভারতের জিডিপি। আর তা থেকে উদ্ধার পেতে এবার সকলের নজর আসন্ন বাজেটে৷ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি আসবে কি না সে আশায় বুক বেধেছে দেশ। 

পয়লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ চলতি অর্থবর্ষের জন্য বাজেট ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সঙ্গে আলোচনা করছে অর্থমন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের আশা যে এই অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক পরিকাঠামোকে সুদৃঢ় করতে এবং সাম্যতা বজায় রাখতে সরকার নিজেদের ব্যয় বৃদ্ধি করবে। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার মত কাজ করছে ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ। যার মাধ্যমে কৃষি থেকে শিল্প ক্ষেত্র উপকৃত হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মত এ বছর পর্যাপ্ত ব্যয় না করলে আর্থিক হাল ফেরানো সম্ভব নয়। 

কিছুদিন আগেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এবারের বাজেট 'অভূতপূর্ব' হতে চলেছে৷ ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে জাগিয়ে তুলতে এমন অনেক কঠিন পদক্ষেপ সরকার নেবে যা আগে কখনও ভাবা হয়নি। 

অর্থনৈতিক মহলের মত এবারের বাজেটে তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- বৃদ্ধি এবং পুনরুদ্ধার। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাজেট ২০২১-এ নজরে থাকবে জিডিপি৷ গত বছর যে হারে সংকোচন হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করাই এখন লক্ষ্য থাকা উচিত কেন্দ্রের। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জিডিপি সংকোচন হয়েছে প্রায় ৭.৭ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন অতিমারী হানায় যেসব ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বৃদ্ধি সরকারের মূল লক্ষ্য। অতিমারীতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণ করতেই তৎপর সরকার। 

বাজারে চাহিদা বাড়াতে এই বাজেটে বৃদ্ধি এবং পুনরুদ্ধার মূল হাতিয়ার করবে সরকার। স্থানীয় বাজারকে আর্থিকভাবে সবল করতে এবং চাকরির বাজার তৈরি এই বাজেটের লক্ষ্য এমনটাই জানান হয়েছে৷
দ্বিতীয়, কৃষিক্ষেত্র উন্নয়ন। এক নয়, একাধিক কারণ রয়েছে কৃষিভিত্তিক দেশে কৃষিক্ষেত্রটির দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার। কোভিড অতিমারীর মধ্যে একমাত্র এই ক্ষেত্রটিই লাভের মুখ দেখেছিল। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের যে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে কৃষকদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে বাজেট। তাই মনে করা হচ্ছে এবারের বাজেট ২০২১ এর থিম হতে পারে কৃষিক্ষেত্র। এর আগে বিজেপি সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেবে। কেন্দ্রের দাবি তিন কৃষি আইন এনে সেই চেষ্টাই করেছিল তারা। ওয়াকিবহাল মহলের মত, হিমঘর এবং খামারহাউসের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে শস্য মজুত রাখা উচিত কেন্দ্রের৷ 

Advertisement

তৃতীয় ক্ষেত্রটি অবশ্যই স্বাস্থ্য। করোনা অতিমারী দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের খামতির দিকটি প্রকাশ্যে এনেছে। যেভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখানে এই বিষয়টি স্পষ্ট। কোভিডে কেড়েছে দেড় লক্ষ প্রাণ। হাসপাতালেত বেড থেকে ভেন্টিলেটর কমতি ছিল সবেতেই। অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন গাফিলতি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা না পাওয়ার। এ বছরের বাজেটে তাই গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন অর্থনীতিকরা।

Advertisement