অনেক সময়ই গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে থাকেন পুলিশকর্মীরা। ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে সম্প্রতি এক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে যে, সন্দেহের ভিত্তিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না পুলিশ। ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে গেলে পুলিশকে কী কী করতে হবে, তা-ও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কী নির্দেশ আদালতের
এক মামলায় বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে, ট্রাফিক পুলিশ কারও ড্রাইভিং লাইসন্স সাসপেন্ড বা বাতিল করতে পারবে না। এই অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের। গাড়িচালকদের সঙ্গে ভদ্র ও পেশাদারিত্বের আচরণ করার কথা বলা হয়েছে। আদালত এ-ও জানিয়েছে যে, লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করলে অবশ্যই স্লিপ দিতে হবে। একতরফা ভাবে গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না। জোর করে জরিমানা আদায় করাও যাবে না। চালকের বক্তব্য জানাতে সুযোগ দিতে হবে।
মোটর ভেহিকেল আইন (১৯৮৮) অনুযায়ী সন্দেহের বশে কারও লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা যাবে না। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট কারণেই ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার অধিকার রয়েছে পুলিশের । এর মধ্যে রয়েছে বিপজ্জনক গাড়ি চালানো, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো বা উচ্চ গতিতে গাড়ি চালানো। গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে, একজন পুলিশ অফিসারের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা নেই এবং মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
কী নিয়ে মামলা
কলকাতার একজন আইনজীবীর গাড়ি দ্রুত গতিতে চালানোর অভিযোগে পুলিশ কর্মী আটকান। আইনজীবী শুভ্রাংশু পান্ডা দাবি করেছেন, তিনি নগদের বদলে অনলাইনে জরিমানা দিতে চান। তাঁর অভিযোগ, এর পরেই পুলিশ অফিসার তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেন। কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি।