Chokher Alo Scheme: বাড়তে থাকা দূষণ আর অপুষ্টিজনিত কারণে ইদানীং কালে চোখের নানা সমস্যায় ভোগের অনেকেই। বাচ্চা থেকে বুড়ো— যে কোনও বয়সেই দেখা দিচ্ছে চোখে নানা জটিল সমস্যা যা সময় মতো চিকিৎসার অভাবে অন্ধত্বের দিকেও ঠেলে দিতে পারে! তবে বাংলার মানুষকে চোখের যে কোনও সমস্যার সুচিকিৎসা দিতে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চোখের আলো প্রকল্পের (Chokher Alo Scheme) সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই প্রকল্পের আওতায় এ রাজ্যের সাধারণ মানুষকে চক্ষু পরীক্ষা, চোখের চিকিৎসা এমনকি ষাটোর্ধ্বদের ছানি অপারেশনও বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে কমছে চিকেনের দর; ১০ দিনে কেজিতে ৫০ টাকা পড়ল মাংসের দাম
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নিজে টুইঠ করে এই প্রকল্পের সাফল্যের কথা জানান। তাঁর টুইট থেকেই জানা গিয়েছে যে, এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি ছানি অপারেশন করা হয়েছে। বিনামূল্যে প্রায় ১৫ লাখ চশমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পড়ুয়াদেরও চক্ষু পরীক্ষার পর যাদের প্রয়োজন, তাদের বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হয়েছে।
'Chokher Alo' was launched in 2021 with the aim of eradicating vision impairment among the people of WB.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 25, 2023
I am elated to share that we've crossed 10 Lakh cataract surgeries & provided 15 Lakh free spectacles to school children & adults (45+), since its launch.
Wonderful feat!
চোখের আলো প্রকল্পের (Chokher Alo Scheme) বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:
• এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার ষাটোর্ধ্ব মানুষের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা করা হয়।
• এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ চশমা বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৮ লাখ ২৫ হাজার বয়স্ক প্রবীণদের চশমা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
• বাংলার ষাটোর্ধ্বদের ছানি অপারেশনও করা হয়। যাঁরা ছানি অপারেশন করাতে যান, তাঁদের বাড়ি থেকে চিকিৎসা কেন্দ্রে যাতায়াতের খরচও বহন করে রাজ্য সরকার।
• এই প্রকল্পে প্রায় সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কারা চোখের আলো প্রকল্পের (Chokher Alo Scheme) সুবিধা পাবেন?
• পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধু চোখের আলো প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
• আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ৬০ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
• আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলার অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী বা রাজ্যের পড়ুয়া হতে হবে।
চোখের আলো প্রকল্পে প্রয়োজনীয় জরুরি নথি:
চোখের আলো প্রকল্পে আবেদনের জন্য আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড বা ঠিকানার যে কোনও সচিত্র প্রমাণপত্র, মোবাইল নম্বর এবং পাসপোর্ট মাপের ছবি লাগবে।
চোখের আলো প্রকল্পের জন্য আবেদনের পদ্ধতি:
চোখের আলো প্রকল্পের সুবিধা পেতে পঞ্চায়েত বা পুরসভাগুলিতে চোখের আলোর শিবিরে যোগাযোগ করতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদনের সুবিধা এখনও চালু হয়নি। এছাড়াও পঞ্চায়েত ও পুরসভার কর্মীরা, আশাকর্মী এবং মহিলা আরোগ্য সমিতির সদস্যরা চোখের আলো প্রকল্পের শিবির সম্পর্কে এলাকা ভিত্তিক প্রচার চালাবেন।