Flight Cancellation and Delay Rules: অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত বা বাতিল হয়। এতে যাত্রীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, ফ্লাইট বাতিলের ক্ষেত্রে আপনার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) কিছু নিয়ম তৈরি করেছে। ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিলের ক্ষেত্রে, যাত্রীরা ভাড়ার টাকা ফেরত এবং আরও অন্যান্য অনেক সুবিধা পান। খোদ বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এসব নিয়মের তথ্য দিয়েছে।
ফ্লাইট বাতিলের ক্ষেত্রে আপনার কী কী অধিকার রয়েছে?
বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যদি বিমান সংস্থা ফ্লাইটটি বাতিল করে, তবে এমন পরিস্থিতিতে তাকে হয় যাত্রীকে অন্য ফ্লাইটের সুবিধা দিতে হবে বা টিকেটের পুরো টাকা রিফান্ড দিতে হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। শুধু তাই নয়, যাত্রীদের খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থাও করতে হবে এয়ারলাইন্সগুলোকে। যাত্রী যদি বিমানবন্দরে চেক ইন করে থাকেন, তবে তিনি বিকল্প ফ্লাইটে না ওঠা পর্যন্ত তার খাবার ও পানীয়ের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব এয়ারলাইন্সের হবে।
ফ্লাইট বিলম্বের ক্ষেত্রে আপনার কী কী অধিকার রয়েছে?
যদি আপনার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে বিমান সংস্থাকে হয় যাত্রীকে বিকল্প ফ্লাইটের সুবিধা দিতে হবে অথবা পুরো টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যাত্রীদের যদি বিকল্প ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে তাদের খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করবে এয়ারলাইন্সগুলো। এমনকি ফ্লাইটটি যদি অন্য কোনো দিন চলাচল করে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও করতে হবে বিমান সংস্থাগুলোকে।
এই পরিস্থিতিগুলিতে সুবিধা পাওয়া যাবে না
PIB জারি করা নোটিফিকেশনে অবশ্য এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, কোনো অপ্রত্যাশিত কারণে ফ্লাইট পরিষেবা ব্যাহত হলে সেক্ষেত্রে উল্লিখিত সুবিধাগুলো বাতিল করা হবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য, DGCA ইতিমধ্যেই তার ওয়েবসাইটে ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল সংক্রান্ত যাত্রী নিয়মগুলি আপডেট করেছে। বিমান যাত্রার আগে এই নিয়মগুলো পড়ে নিতে পারেন।
ফ্লাইট বাতিলের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি জানা জরুরি
যদি একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়, যাত্রীদের অবশ্যই যাত্রার নির্ধারিত তারিখের কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে অবহিত করতে হবে এবং ফেরত বা বিকল্প ফ্লাইটের অপশনের প্রস্তাবও দিতে হবে। কিন্তু যদি এয়ারলাইন অপারেটর যাত্রীদের না জানায় তাহলে তাদের এয়ার টিকিটের মূল্য ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই ক্ষতিপূরণ ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা হতে পারে। মনে রাখবেন, টিকিট বুক করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান করা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে আপনার ইমেল ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। DGCA নিয়ম বলছে ভুল যোগাযোগের তথ্য দেওয়ার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
ফ্লাইটে বিলম্বের ক্ষেত্রে নিয়ম
DGCA অনুসারে, নির্ধারিত যাত্রার সময় থেকে ২৪ ঘন্টার কম বিলম্ব হলে আপনি বিমানবন্দরে খাবার এবং পানীয় পাওয়ার অধিকারী। ২৪ ঘন্টার বেশি বিলম্ব হলে, আপনার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা বিমান সংস্থাকে করতে হবে। এই ক্ষেত্রে, হোটেল নির্বাচনের অধিকার সম্পূর্ণরূপে বিমান সংস্থার উপর নির্ভর করবে।
রিফান্ড পাবেন কীভাবে?
ডিজিসিএ ওয়েবসাইট অনুসারে, আপনি যদি নগদ অর্থ প্রদান করেন তবে এয়ারলাইনকে অবিলম্বে আপনাকে ফেরত দিতে হবে। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে ৭ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। যদি কোনো ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট বুক করা হয়ে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।