আসন্ন সময়ে ভারতে হুইস্কির (Whiskey) একাধিক ব্র্যান্ড সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না। কারণ জনি ওয়াকার (Johnnie Walker), ম্যাকডোয়েল (McDowel), ব্ল্যাক ডগ (Black Dog) এর মত হুইস্কি তৈরি করা কোম্পানি ডিয়াজিও (Diageo) পিএলসিকে মোটা টাকা লোকসান এর মুখে পড়তে হচ্ছে। ডিয়াজিও পিএলসি ভারতীয় ব্রাঞ্চের কর্তা হিনা নাগরাজন (Heena Nagrajan) এবং ভারত সরকারের (India Government) মধ্যে হুইস্কির দাম নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। ভারত সরকার মদের দামের সর্বাধিক সীমা নির্দিষ্ট করে রেখেছে। এই কারণে কোম্পানি ভারতে নিজেদের হুইস্কি ব্র্যান্ডের দাম ইচ্ছেমতো বাড়াতে পারছে না। এ কারণে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
কোম্পানিকে মোটা টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে
ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কোম্পানির ইতিমধ্যেই ভারতে ৯০ লাখ ডলার লোকসান হয়ে গিয়েছে। এই কারণে ডিয়াজিওর ভারতীয় ব্রাঞ্চ কিছু ব্র্যান্ড বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ডিয়াজিও ভারতের একাধিক রাজ্যে হুইস্কির একাধিক ব্র্যান্ড বিক্রির উপর বাধা আরোপ করেছে। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির কারণে মদ বিক্রির খরচ বেড়েছে। কিন্তু সরকার দ্বারা অধিকতম দাম বেঁধে দেওয়ার কারণে কোম্পানিগুলি মদের দামের বৃদ্ধি করতে পারছে না।
বিক্রি বন্ধ ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত
মার্কেটের কিছু বিশেষজ্ঞের বক্তব্য যে মার্জিন পড়ে যাওয়ার কারণে বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কোম্পানির জন্য ঝুঁকির হতে পারে। রিপোর্ট অনুসারে এই সময় মদের উৎপাদনে ডবল ডিজিটের লাভ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে কোম্পানির লোকসান বাড়তে পারে। ৫৭ বছর বয়সী নাগরাজন জানিয়েছেন মদের দাম বাড়া নিয়ে আসা সমস্যা সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, তিনি এতটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানতেন না।
ব্যবসা প্রভাবিত হবে
তিনি বেঙ্গালুরুতে একটি ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন যে, এই কম সময়ে আমাদের অংশীদারিত্ব প্রভাবিত হবে। সঙ্গে তিনি এটিও বলেন যে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই দামের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরও জানান, যদি আমরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দেখি, তাহলে আমাদের মনে হয় যে এই ব্যবসার জন্য সঠিক পদক্ষেপ। আমার মনে হয় আমাদের ডিস্ট্রিবিউটর এবং অন্যান্য ব্যবসার অংশীদাররা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
প্রত্যেক রাজ্য দাম নির্ধারণ করে
তিনি জানিয়েছেন যে পাঁচ রাজ্যের সঙ্গে ভাল আলোচনা চলছে। হরিয়ানা, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর প্রদেশের মত রাজ্য আগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রত্যেক রাজ্য নিজের এলাকায় মদের দাম নির্ধারিত করে। নাগরাজন জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে মদের দামে বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি ইউনিফর্ম সিস্টেম চাইছেন তাঁরা। ডিয়াজিও জনি ওয়াকার, স্মার্নঅফ এবং একাধিক ব্যান্ডের মালিক।