আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরই বদলে যাবে ক্যালেন্ডার। শুরু হবে ২০২১ সাল। বিশ্বের সর্বত্র ১ জানুয়ারি দিনটিকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসাবে উদযাপন করা হয়। তবে জানেন কি, এই হিসাব আসলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী! গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ছাড়াও আরও অনেক রকম ক্যালেন্ডার বা সাল পঞ্জি প্রচলিত রয়েছে বিশ্বের আনাচে কানাচে। তবে গোটা বিশ্বে নববর্ষ পালিত হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ইতিহাস:
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ১৫৮২ সালে শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ, আজ থেকে প্রায় ৪৩৮ বছর আগে থেকে ধাপে ধাপে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেই চালু হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। বলা ভাল, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা শুরু হয় প্রায় ৪৩৮ বছর আগে। ভারত-সহ এশিয়ার অনান্য দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু হয় তারও কয়েকশো বছর পর।
এর আগে, রাশিয়ার জুলিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত ছিল যেখানে এক বছরে ১০ মাস ছিল এবং ক্রিসমাস কোনও নির্দিষ্ট দিনে পড়ত না। ১৫ অক্টোবর ১৫৮২ সালে আমেরিকার অ্যালোসিয়াস লিলিয়াস ক্রিসমাসকে দিনের হিসাবে ঠিক করার জন্য গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার শুরু করেছিলেন। এই পঞ্জিকা অনুযায়ী, জানুয়ারী বছরের প্রথম মাস এবং বছরের শেষ ডিসেম্বরে ক্রিসমাস পার হওয়ার পরে এই ক্যালেন্ডারে, প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাসের জন্য স্থির করা হয়।
যে কোনও ক্যালেন্ডার সূর্যচক্র বা চন্দ্র চক্রের গণনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। সূর্য চক্র ভিত্তিক একটি ক্যালেন্ডার ৩৬৫ দিন থাকে এবং চন্দ্র চক্রের গণনার উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি ক্যালেন্ডারে ৩৫৪ দিন থাকে। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারটি সূর্য চক্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি মাসে সমান দিন নেই। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৩০ দিনের ৪ মাস, ৩১ দিনের ৬ মাস এবং ১ মাস ২৮ দিনের। প্রতি চার বছরে ২৮ দিনের বছরের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে ২৯ দিনের লিপ ইয়ার থাকে।