কর্মজীবী মানুষের জন্য, প্রভিডেন্ট ফান্ড তাঁদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়। কিন্তু এই তহবিল সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। কিন্তু এটি হল সেই টাকা যা দিয়ে চাকুরীজীবী মানুষ তাঁদের বৃদ্ধ বয়সে জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু কখনও কখনও কিছু ভুলের কারণে, সেই পিএফ অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে যায়।
ধরা যাক কোনও একটি সংস্থার কারও পিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা আছে। কিন্তু সংস্থা পরিবর্তনের পর পিএফ অ্যাকাউন্ট স্থানান্তরিত করা না হয় এবং ৩৬ মাস ধরে কোনও লেনদেন না হয় তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। EPFO এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষ্ক্রিয় বিভাগে রাখে।
সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করতে ফের ইপিএফও-তে আবেদন করতে হবে। তবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও নিশ্চিন্তে থাকুন কারণ, টাকা সুরক্ষিতই থাকবে। ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত PF অ্যাকাউন্টে সুদ পাবেন।
আপনার EPF অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে
১. অ্যাকাউন্ট হোল্ডার স্থায়ীভাবে বিদেশে চলে গেলে EPF অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হতে পারে।
২. অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু।
৩. যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার সমস্ত টাকা উত্তোলন করে থাকেন।
৪. যদি কেউ ৭ বছরের জন্য কোনও পিএফ অ্যাকাউন্টের দাবি না করেন তাহলে সেই তহবিলটি সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার ফান্ডে রাখা হয়।
পিএফ অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও সেটি দাবি করা যায়। কেওয়াইসি নথিতে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, রেশন কার্ড, পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।
আরও পড়ুন - ঘুম হচ্ছে না মশার, স্বাদ ভুলেছে রক্তের, চাঞ্চল্যকর গবেষণা