PF Interest: দেশের কোটি কোটি লোক প্রাইভেট চাকরি করেন। তাঁদের জন্য পিএফ (Provident Fund) একটা বড় আশ্রয়। কারণ পিএফ-এ (EPFO) সবচেয়ে বেশি সুদ পাওয়া যায়। এখন এর মধ্যে লগ্নি করে আয়করে ছাড় পাওয়ার সুবিধাও পাওয়া যায়। কিন্তু এখন খবর আসছে যে পিএফের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের বড় ঝটকা লাগতে পারে। আসন্ন সময়ে পিএফে পাওয়া সুদ খুব কম হতে পারে। যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে ৬ কোটির বেশি লোক প্রভাবিত হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্টে আরটিআই করে জানা গিয়েছে যে, সরকার পিএফের সুদের হার কমাতে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। কারণ আর্থিক বছর ২০২১-২২ এর সময় ইপিএফ এর সারপ্লাসের অনুমানের পরেও ক্ষতি হয়েছিল।
পি এফ এর সুদের হার কমার পিছনে হতে পারে এইসব কারণ
আসলে ২০২১-২২ এর সময়ে অনুমান ছিল যে ইপিএফ ওর কাছে ৪৪৯.৩৪ কোটি টাকার সারপ্লাস রয়েছে। যেখানে উল্টো ১৯৭.৭২ টাকা ঘাটতিতে চলে যায়। তারপরে pf এর দেওয়া সুদের হার নিয়ে নতুন করে বিচার বিবেচনা শুরু করতে হয়। যদিও সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনও কথা বলেনি।
এই সময়ে সরকার আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানিয়ে দিই যে ইপিএফও বিভাগের শ্রম এবং রোজগার মন্ত্রণালয় এর অন্তর্গত খবর রয়েছে যে এখন ইপিএফও, বিনা অর্থ মন্ত্রকের অ্যাপ্রুভালের আগে সুদের হার নিয়ে কোনও রকম ঘোষণা করতে পারবে না। আসলে এখনও পর্যন্ত এমন ব্যবস্থা রয়েছে যে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন ইপিএফ ও কেন্দ্রীয় ন্যাসি বোর্ড (সিভিটি) দ্বারা অ্যাপ্রভাল এর আগে সুদের হারের বিষয়ে দেওয়া হতো। অর্থাৎ সরকার সবুজ সংকেত দেওয়ার পরে লোকেরা ইপিএফও নিয়ে তথ্য দিতে পারবে।
অ্যাপ্রুভাল ছাড়া ঘোষণা নয়
নিয়ম অনুযায়ী পিএফ এর উপর প্রস্তাবিত সুদের হারে ইইপিএফ এর উপর অ্যাপ্রুভালের জন্য মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। তারপর মন্ত্রণালয়ের সিলমোহরের পরেই সর্বসমক্ষে আনা হয়। আপাতত অর্থ মন্ত্রক আর্থিক বছর ২০২২-২৩ এর জন্য পিএফ এর হার ৮.১৫ শতাংশ দিয়েছিল। অর্থ মন্ত্রকের দাবি যে ইপিএফে হওয়া এই ক্ষতির মাথায় রেখে পিএফ এর হাই ইন্টারেস্টেরকে কম করা এবং বাজারদরের সমতুল্য লোন এর প্রয়োজন রয়েছে।
যদিও বিগত অর্থ ঠিকবছর গুলিতে সুদের হার লাগাতার কমেছে
১. ২০১৫-১৬ সালে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৮০ শতাংশ
২. ২০১৮-১৯ সালে এটি ৮.৮৫ শতাংশ ২০১৯ করিতে ৮. ৫০ শতাংশ
৩. ২০২০-২১ এ সুদের হার ৮.৫০ শতাংশ
৪. ২০২১-২২ এ সালে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.১০ শতাংশ
৫. ২০২২-২৩ এ সামান্য বেড়ে ৮.১৫ শতাংশ করা হয়