গোটা দেশেই দ্রুতগতিতে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। গ্রীষ্মকালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। আসুন জানি গ্রীষ্মে এত বেশি অগ্নিকাণ্ডের কারণ কী এবং কীভাবে তা এড়ানো সম্ভব :
শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ড
গরমকালে আগুন লাগার সবচেয়ে বড় কারণ শর্ট সার্কিট। এই সময় পাখা ও এসি-কুলার ব্যবহৃত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সার্কিটের লোড অনেক বেড়ে যায়। সেই কারণে শর্ট সার্কিট হয়। শহরাঞ্চলে আগুন লাগার সবচেয়ে বড় কারণ এটিই। শুধু ভারতেই নয়, অন্য দেশেও দেখা যায়।
পাশাপাশি যানবাহনে আগুন লাগার ঘটনাও দেখা যায়। প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে টিনের ছাদ ও দেওয়ালের ঘর অন্য বাড়ির তুলনায় অনেক বেশি গরম হয়ে যায়। এমতাবস্থায় যে কোনও ধরনের শর্ট সার্কিট, অতিরিক্ত গরম, গ্যাস লিক এবং মানবিক ত্রুটি হলে কাগজ, প্লাস্টিক সামগ্রী, রাসায়নিক ও আসবাবপত্র ইত্যাদিতে দ্রুত আগুন ধরার সুযোগ রয়েছে।
চিমনির কারণেও আগুন লাগে। শহরের বেশিরভাগ বাড়িতে চিমনি লাগানো থাকে। এর উদ্দেশ্য হল রান্নাঘরের ধোঁয়া যাতে ঘরে ছড়িয়ে না পড়ে। অনেক সময় এই চিমনির কারণেও বাড়িঘরে আগুন লেগে যায়।
কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
প্রয়োজন অনুযায়ী মিটারের লোড ক্ষমতা বাড়ান: আপনার বাড়িতে যে মিটার লাগানো রয়েছে তার লোড নেওয়ার ক্ষমতা কতখানি তা আগে পরীক্ষা করুন। যদি লোড ক্ষমতা কম থাকে তাহলে মিটার বদলান। এক্ষেত্রে কোনও ইলেকট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন।
প্রচণ্ড বাতাস বইলে আগুন জ্বালাবেন না: গরমকালে প্রবল তাপের কারণে আগুন লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনার রান্নাঘর যদি খোলা জায়গায় হয়, তাহলে সেখানে হাওয়া প্রবেশের সম্ভাবনা বেশি। বেশি হাওয়া বইলে গ্যাস বন্ধ করুন।
স্মোক ডিটেক্টরগুলি পরীক্ষা করুন: আপনি যদি কোনও অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন তবে স্মোক ডিটেক্টরগুলো পরীক্ষা করে নিন। প্রয়োজনে সার্ভিসিং করান।
AC, TV, ফ্রিজ, কম্পিউটার পরীক্ষা করান: গ্রীষ্মের সময় আগুনের ঘটনা এড়াতে, চিমনি, AC, TV, ফ্রিজের মতো সরঞ্জামগুলির পরীক্ষা করান। গরমে এগুলিতে আগুন লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।