নতুন গ্র্যাচুইটির নিয়মনতুন শ্রম আইন সামনে এনেছে সরকার। সেখানে গ্র্যাচুইটির নিয়মে বিরাট বদল আনা হয়েছে। এখন থেকে ১ বছর চাকরি করলেই মিলবে গ্র্যাচুইটির টাকা। আপনাকে আর ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। যার ফলে বেশ আনন্দেই রয়েছে চাকরিজীবী মহল।
তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, এই সুবিধা অবশ্য সকলে পাবেন না। বরং ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়িজরাই শুধু গ্র্যাচুইটির টাকা পাবেন।
এখন প্রশ্ন হল, ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়িজ আসলে কে?
এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রম দফতর থেকে জানান হয়েছে, কোনও কর্মীকে যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিখিত চুক্তি দেওয়া হয়, তাহলেই তিনি ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়ি।
এই চুক্তিপত্রে নির্দিষ্টভাবে লেখা থাকতে হবে চাকরির সময়টা। এই সময়টা পেরিয়ে গেলে চাকরির মেয়াদ এমনিই শেষ হয়ে যাবে।
আর এই মডেলটা এখন অনেক সেক্টরেই ব্যবহার করা হয়। বিশেষত, যেখানে সিজনাল ডিমান্ড থাকে বা প্রোজেক্ট বেসড কাজ থাকে, সেখানেই এই স্টাইলে কর্মী নিয়োগ করা হয়। মূলত ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট, টেক্সটাইল, কনস্ট্রাকশন, আইটি সার্ভিস, মিডিয়া প্রোডাকশন, লজিস্টিক এবং এক্সপোর্ট লিঙ্কড ব্যবসায় সাধারণত এই ধরনের ফিক্স টার্ম হায়ারিং করা হয়।
আর এই কর্মীদের স্বার্থেই এবার এগিয়ে এল সরকার। তাদের পক্ষ থেকে এই সব কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঠিক সময় মাইনে, ছুটি এবং কাজের সময় নির্দিষ্ট করার দেওয়া হয়েছে পরামর্শ।
গ্র্যাচুইটি কী?
একজন কর্মী যখন কোনও সংস্থার হয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করেন, তখন তাকে খুশি হয়ে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এতদিন ৫ বছর কাজ করেই মিলত গ্র্যাচুইটি। তবে এবার সেই নিয়মে বদল আসছে।
লেবার কোডে কী বদলে?
নতুন এই শ্রম আইনে ফিক্সড টার্ম কর্মীরা একবছর থাকলেই গ্র্যাচুইটি পাবেন। এমনকী এক বছর পর চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও মিলবে এই টাকা।
কোথায় বদল?
২৯টি পুরনো কেন্দ্রীয় শ্রম আইন বাতিল করে চারটি বিধি আনা হয়েছে। সেগুলি হল: ১। মজুরি বিধি (২০১৯) Code on Wages (2019) ২। শিল্প সম্পর্কিত কোড (২০২০) Industrial Relations Code (2020) ৩। সামাজিক সুরক্ষা বিধি (২০২০) Code on Social Security (2020) ৪। পেশাগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ বিধি সংক্রান্ত বিধি (২০২০) Occupational Safety, Health & Working Conditions (OSHWC) Code (2020)।
শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন বিধিগুলি শ্রমিকদের, বিশেষ করে অসাংগঠনিক ক্ষেত্রের কর্মী, প্রবাসী শ্রমিক এবং মহিলাদের যথোপযুক্ত মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করবে।