Hilsa Price in Kolkata: বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে পৌঁছেছে ৪০ টন ইলিশ। ফলে মুখে চওড়া হাসি এপার বাংলার ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে ভোজনরসিকদের। বাংলাদেশি ইলিশ চলে আসায় এই বাংলার বাজারে ইলিশের জোগান অনেকটাই বেড়েছে।
কতটা বাংলাদেশি ইলিশ পাচ্ছে পশ্চিমবাংলার বাঙালি?
খাতায়-কলমে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত, ৪০ দিনের মেয়াদে মোট ৩৯৫০ টন ইলিশ এ দেশে রফতানির অনুমতি দিয়েছিল ঢাকা। তবে ১২ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাই অক্টোবরের ১১ তারিখের মধ্যেই যতটা সম্ভব বাংলাদেশি ইলিশ পশ্চিমবাংলায় ঢুকবে। ফলে, এই ক’দিনে ৩৯৫০ টন বাংলাদেশি ইলিশ যে সীমান্ত পেরিয়ে আনা সম্ভব নয় তা মানছে ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। তাই এই সংগঠনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশ রফতানির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইলিশের দাম কতটা কমেছে?
বালিগঞ্জের মাছ ব্যবসায়ী মুকুল সরকার জানান, ৪০ টন বাংলাদেশি ইলিশ বাজারে এলেও দাম কিন্তু এখনই কমছে না। সমস্ত বাজারে ওই মাছ পৌঁছে দাম নামতে আরও বেশ কয়েকটা দিন সময় লাগবে। বাংলাদেশি ইলিশের পাশাপাশি খরা কাটিয়ে গত দুই-তিন দিন ধরে বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে নামখানা-ডায়মন্ড হারবারের টাটকা ইলিশ। সব মিলিয়ে ইলিশের দাম নামতে আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।
কোন মাপের ইলিশের দাম কত?
আদিত মজুমদার জানান, বাজারে যতটা বাংলাদেশের ইলিশ পৌঁছেছে সেটা মেঘনা-পদ্মার নয়, মূলত চট্টগ্রামের মাছ। এই ইলিশের ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের মাছে কেজি ১,২৫০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। এছাড়া, এক কেজি থেকে সোয়া কেজির ইলিশের দর ১,৬০০ টাকা কেজি থেকে শুরু হচ্ছে। দেড় কেজি বা তার চেয়ে বড় মাছ ১,৮০০ কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। অন্যান্য দিশি ইলিশের দর কেজিতে এক-দেড়শো কম। লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট, কসবা বা হাতিবাগান বাজারে মাছের দর বেশ কিছুটা চড়া। তবে ৮০০ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের কোনও ইলিশের দরই ১,০০০ টাকার কম নয়। তবে দিন দুই-তিনেকের মধ্যে এই দাম বেশ কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করছেন আদিত সহ মানিকতলা, পাতিপুকুর, বালিগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা।