গোল্ড লোনা না পার্সোনাল লোন?বিপদ বা প্রয়োজন বলে কয়ে আসে না। এটা যে কোনও সময় মাথার উপর উদয় হতে পারে। আর তখন হাতে টাকা না থাকলেই গেল। অগত্যা ব্যাঙ্ক থেকে নিতে হয় পার্সোনাল লোন। এই ঋণের মাধ্যমেই প্রাথমিকভাবে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা যায়। তবে বর্তমানে অনেকে আবার পার্সোনাল লোনের বাইরে বেরিয়েও ভাবছেন। তাঁরা নিচ্ছেন গোল্ড লোন।
কিন্তু প্রশ্ন হল, পার্সোনাল লোন না গোল্ড লোন, কোনটায় কী কী লাভ? কোনটা নিলে বাঁচবে বেশি টাকা? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কোনটা নিলে বাঁচবে বেশি টাকা?
সাধারণত গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট রেট কিছুটা কম থাকে। কারণ, সোনা বন্ধক রেখেই এই লোন পাওয়া যায়। আর সোনা জমা রাখার কারণে ঋণদাতারা অনেক বেশি সুনিশ্চিত থাকেন। তাই তারা বেশি ইন্টারেস্ট রেট সাধারণত চার্জ করেন না।
অন্যদিকে পার্সোলান লোনের ক্ষেত্রে আবার সিভিল স্কোরের একটা ঝামেলা রয়েছে। যাঁদের সিভিল স্কোর ৭৫০ এর বেশি, তাদের অবশ্যই কিছুটা কম থাকে ইন্টারেস্ট রেট। কিন্তু ৭৫০-এর নীচে স্কোর থাকলেই সমস্যা হয়। তখন আবার বেড়ে যায় ইন্টারেস্ট রেট। এছাড়া এটি একটি আনসিকিয়োর্ড লোন। সেই কারণে এটার সুদের হার অবশ্যই কিছুটা বেশি থাকে।
তাই আপনি যদি এই হিসেবে দেখেন, তাহলে অবশ্যই গোল্ড লোন অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
আরও লাভ রয়েছে
গোল্ড লোনের আরও কিছু সুবিধা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, এই লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি লেট হয় না। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই সোনার মান যাচাই করে দেওয়া হয় ঋণ। তাই খুব সহজেই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অন্যদিকে আপনি যদি পার্সোনাল লোনের দিকে তাকান, তাহলে সেটা পাওয়ার আগে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। প্রথমত ব্যাঙ্ক আপনার ক্রেডিট স্কোর চেক করবে। তারপর আরও ডকুমেন্টস ভ্যারিফিকেশন হবে। মিলবে এই লোন।
এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় প্রয়োজনের সময়টাই পেরিয়ে যায়। তাই এক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে গোল্ড লোন।
তবে একটা সমস্যা রয়েছে
আসলে সোনার সঙ্গে আমাদের ইমোশন জড়িয়ে থাকে। তাই প্রয়োজনের সময় এটি জমা রেখে ঋণ নিতে কুণ্ঠাবোধ হয়। এই কারণেই অনেকে সোনা জমা রেখে লোন নিতে চান না। আর তাদের এই মানসিক দিকটাও মাথাও রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, মন না চাইলে শর্ট টার্মে নিতেই পারেন পার্সোনাল লোন। তবে সেটা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলা জরুরি। ঠিক সময়ে টাকা শোধ করে দিলে কোনও সমস্যা হবে না।