
যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে সোনার দাম। গত এক বছরে সোনার দাম প্রায় ৪৬-৪৭% বেড়েছে। যেখানে এই বছরেই অর্থাৎ ২০২৫ সালে সোনার দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এক বছর আগে, ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল প্রায় ৭৫ হাজার টাকা, যা বেড়ে ১,১০,০০০ টাকারও বেশি হয়েছে। ফলে এ বছর যাদের বিয়ে করার প্ল্যান আছে তারা বেশ সমস্যায় পড়তে পারেন।
সাধারণত একটি মধ্যবিত্ত পরিবার বিয়েতে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে। ধারণা করা হয় যে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি পরিবার আগে কমপক্ষে ২০ গ্রাম সোনা কিনত, যার দাম আগে প্রায় ১.৫০ লক্ষ টাকা ছিল। কিন্তু এ বছর বিয়েতে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করার পরিকল্পনা যে সমস্ত পরিবারের ছিল, তারা চিন্তিত। তারা ভাবছেন এখন কত সোনা কিনবেন? কারণ সোনা প্রতিদিন দাম বাড়ছে, এবং বাজেটের বাইরেও যাচ্ছে।
সোনার দাম বেশি, তবে বিকল্প কী?
সোনার দাম বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব গয়না বাজারেও দেখা যাচ্ছে। গয়না ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে এবং অনেক দোকানদার কিস্তিতে গয়না দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে, দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী মাসগুলিতে গয়না শিল্প বড় ধাক্কার সম্মুখীন হতে পারে।
তবে, সোনার দাম রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছানোর পর, মানুষ এখন ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য নতুন বিকল্প খুঁজছে। বিয়ে ও অন্য উৎসবে গয়না আজও গুরুত্ব। কিন্তু ক্রমবর্ধমান দাম মানুষের পছন্দ এবং কৌশল উভয়ই বদলে দিয়েছে।
১. হালকা এবং অল্প গয়না
মানুষ এখন ভারী নেকলেস এবং ব্রেসলেটের পরিবর্তে হালকা ডিজাইনের গয়না বেছে নিচ্ছে। ছোট চেন, মসৃণ আংটি এবং ন্যূনতম ব্রেসলেটের চাহিদা বেড়েছে। এটি সোনা কিনতে সাহায্য করে এবং বাজেটের বোঝাও কমায়।
২. ১৮ ক্যারেট এবং ১৪ ক্যারেট সোনা
আগে মানুষ বেশিরভাগই ২২ ক্যারেট এবং ২৪ ক্যারেট সোনা কিনত, কিন্তু এখন মানুষ ১৮ ক্যারেট এবং ১৪ ক্যারেটে গয়না তৈরি করছে। এর ফলে সোনার দাম কম হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরণের ফ্যাশনেবল ডিজাইনও পাওয়া যাচ্ছে।
৩. সোনার জল করা নকল গয়না
বিশেষ করে বিবাহ বা অনুষ্ঠানের জন্য, অনেক পরিবার এখন সোনার জল করা গয়না বা উচ্চমানের নকল গয়না কিনছেন। এগুলি দেখতে প্রায় আসল সোনার মতো এবং দামও অনেক কম। অর্থাৎ, এটা বাজেটের মধ্যে।