বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মীদের বড় পাওনা গ্র্যাচুইটি। এনিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কোনও সংস্থায় একটানা ৫ বছর কাজ করলেই মেলে গ্র্যাচুইটি। নতুন শ্রমবিধিতে গ্র্যাচুইটির নিয়মে সরকার কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারে বলে জল্পনা। যদি বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
বেসরকারি ক্ষেত্রের সবাই কি গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন?
এক টানা ৫ বছর কাজ করলে কর্মীদের গ্র্যাচুইটি দিয়ে থাকে বেসরকারি সংস্থাগুলি। দেশের সমস্ত কারখানা, বেসরকারি পরিষেবা অফিস, খনি, তৈলক্ষেত্র, বন্দর এবং রেলের কর্মীরা পান গ্র্যাচুইটি। ১০ জনের বেশি লোক রয়েছে এমন দোকান বা সংস্থায় কর্মরতদের গ্র্যাচুইটি দিতে বাধ্য মালিকপক্ষ। কর্মচারীরা একটানা পাঁচ বছর কাজ করলেই তাঁরা গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। কয়েকটি ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম সময় থাকলেও কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পান।
৫ বছরের কম কাজ করেও কারা পেতে পারেন গ্র্যাচুইটি?
গ্র্যাচুইটি আইনের ২এ-এ ধারায় 'নিরবচ্ছিন্ন কাজ' স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, পুরো পাঁচ বছর কাজ না করলেও অনেক কর্মচারী গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী হন। গ্রাচুইটি আইনের ধারা ২এ অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ খনিতে কর্মরত কর্মীরা যদি সংস্থায় চার বছর ধরে একটানা ১৯০ দিন ধরে কাজ করে থাকেন তাহলে তাঁরা গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য।
অন্যদিকে, অন্যান্য সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা চার বছর ২৪০দিন (অর্থাৎ ৪ বছর ৪ মাস) কাজ করার পরে গ্র্যাচুইটির জন্য যোগ্য হন। নোটিশ পিরিয়ডও গ্র্যাচুইটিতে যোগ করা হয়। কারণ নোটিশ পিরিয়ডেও কর্মীরা কাজ করেন।
গ্রাচুইটির হিসাব
কীভাবে গ্র্যাচুইটির হিসাব করা হয়। মোট গ্র্যাচুইটির পরিমাণ = (শেষ বেতন) x (15/26) x (কোম্পানিতে কাজ করা বছরের সংখ্যা)। ধরুন আপনি একই কোম্পানিতে টানা ৭ বছর কাজ করেছেন। বেতন ৩৫০০০ টাকা (মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা সহ)। সুতরাং হিসাব অনুযায়ী (৩৫,০০০ x (১৫/২৬) x (৭) = ১,৪১,৩৪৬ টাকা। কোনও কর্মচারী সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন। গ্র্যাচুইটি হিসাব করমুক্ত। এই নিয়ম সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন- বকেয়া ডিএ এখনই নয়, সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ সামাল দিতে জানুয়ারিতে বড় উপহার!