নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের স্বপ্ন প্রায় প্রতিটি মানুষেরই থাকে। কেউ সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন, কেউ বা পারেন না। আবার অনেকে কর্মসূত্রে বা অন্যান্য প্রয়োজনে বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট ভাড়াও নিয়ে থাকেন। আর এই বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভাড়াটেকে কিছু নিয়ম মেনে চলে হয়। তাই বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। একইসঙ্গে কয়েকটি বিষয় খুব পরিষ্কারভাবে জেনে নেওয়া উচিত বাড়িমালিকের কাছ থেকে। এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়গুলি নিয়েই করা হবে আলোচনা।
বাড়ি ভাড়ার জায়গা - আজকাল অনেকেই কাজের প্রয়োজনে গ্রাম বা মফঃস্বল ছেড়ে এসে শহরে বসবাস করেন। কারণ তাতে কাজের জায়গা সামাল দেওয়া তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক হয়ে ওঠে। তাই যদি আপনিও গ্রাম বা মফঃস্বল ছেড়ে শহরের বুকে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন, কোন জায়গায় থাকবেন। কারণ যেখানে বাড়ি ভাড়া নেবেন সেখান থেকে আপনার কাজের জায়গা বা অফিসে যাতায়াতের জন্য ভাল পরিবহণ ব্যবস্থা থাকাটা জরুরি।
ভাড়া - এরপরেই যে বিষয়টা আসে সেটি হল বাড়ির ভাড়া। অর্থাৎ বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বাজেট কতো? এক্ষেত্রে অবশ্য এলাকা অনুযায়ী অনেক সময় ভাড়ার পরিমান নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে হয়তো দেখা গেল, অফিসের খুব কাছেই পছন্দসই ঘর পেলেন, কিন্তু ভাড়া আপনার বাজেটের বাইরে। আবার হয়ত বাজেটের মধ্যে বাড়ি পেলেন, কিন্তু সেটা ঠিক মনের মতো হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে, অফিসের থেকে সবচেয়ে বেশি কতদূরে থাকলে আপনার যাতায়াতেও সুবিধা হবে, আবার ভাড়াটাও তুলনামূলক কম পড়বে। একইসঙ্গে চেষ্টা করুন, দালাল নয়, মালিক সরাসরি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, এমন বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকতে। তাতেও কিছুটা অর্থ বাঁচবে।
শর্তাবলি - বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শর্তাবলি। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সেই বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকতে গেলে কী কী করা যাবে বা কোন কোন জিনিসগুলি করা যাবে না, তা জেনে নেওয়া। একইসঙ্গে বাড়িওয়ালার সঙ্গে কন্ট্রাক্ট কতোদিনের হচ্ছে সেটিও ভাল করে জেনে নিন। খুঁটিয়ে পড়ুন কন্ট্রাক্ট পেপার। চুক্তিপত্রের কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করুন।
রক্ষণাবেক্ষণের নিয়মাবলী জেনে নিন - বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার পর বসবাসের সময় যদি কিছু মেরামত করতে হয়, তাহলে সেটি কার দায়িত্ব, তা আগেভাগেই জেনে নেওয়া ভাল। যদি সেক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ ভাড়াটের দায়িত্ব হয়, তাহলে তার জন্য নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে বলতে হবে কি না তাও জেনে নিন। আবার যদি সেটি বাড়িওয়ালার দায়িত্ব হয়, তাহলে সেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কতদিনের মধ্যে হবে সেটিও জেনে নেওয়া উচিত।
সিকিউরিটি মানি - বাড়ি বা ফ্ল্যাট, যেটাই ভাড়ি নিন না কেন, প্রায় সবক্ষেত্রেই একটি সিকিউরিটি মানির বিষয় থাকে। এটি সাধারণত ১ বা ২ মাসের বাড়ি ভাড়ার সমান হয়। সেক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া ছাড়ার সময় সেই টাকা কীভাবে অ্যাডজাস্ট হবে সেটিও পরিষ্কারভাবে জেনে নিলে ভবিষ্যতে সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন - মাত্র ৮ দিনের অপেক্ষা, চন্দ্রগ্রহণে ঘুমন্ত ভাগ্য জেগে উঠবে ৩ রাশির