আজ, ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ভারতীয় রেলওয়ের নতুন ভাড়া কাঠামো কার্যকর হয়েছে। যারা ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ খবর। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না, কোন ট্রেন মেইল, কোনটি এক্সপ্রেস, কোনটি সুপারফাস্ট বা যাত্রীবাহী ট্রেন, আর কার ভাড়া বেড়েছে ঠিক কতটা। আসুন সহজভাবে সবটা জেনে নিই।
মেইল ট্রেন কী?
আগে এই ট্রেনে ডাক পরিবহণ হত, এখন এগুলো এক্সপ্রেস ট্রেনের মতোই চলে। নামেই বোঝা যায় যেমন: গোরক্ষপুর মেইল, মুম্বই মেইল। দূরপাল্লার রুটে চলে, কিছু নির্দিষ্ট স্টেশনে থামে। ভাড়া বাড়ানো হয়েছে এখন প্রতি কিলোমিটারে ১ পয়সা বেশি।
এক্সপ্রেস ট্রেন
মেইল ট্রেনের মতোই কিন্তু গতি একটু বেশি। সব স্টেশনে থামে না। নামের শেষে Express লেখা থাকে যেমন: লখনউ এক্সপ্রেস, পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের ভাড়াও প্রতি কিমিতে ১ পয়সা করে বেড়েছে।
সুপারফাস্ট ট্রেন
গতি আরও বেশি, থামার সংখ্যা কম। ট্রেন নম্বর সাধারণত ২ দিয়ে শুরু হয়, নামেও থাকে Superfast বা SF যেমন: বিক্রমশিলা সুপারফাস্ট। আলাদা করে সুপারফাস্ট সারচার্জ নেওয়া হয়। এখানেও ভাড়া বেড়েছে, বিশেষ করে এসি ক্লাসে প্রতি কিমিতে ২ পয়সা বেশি।
যাত্রীবাহী (প্যাসেঞ্জার) বা সাধারণ ট্রেন
সব স্টেশনে থামে, মূলত ছোট দূরত্বে চলে। নামের মধ্যে প্যাসেঞ্জার বা সাধারণ লেখা থাকে যেমন: বেনারস প্যাসেঞ্জার। স্লিপার বা এসি কোচ নেই, ভাড়া সবচেয়ে কম। এদের ভাড়া প্রায় অপরিবর্তিত, সামান্য প্রভাব পড়েছে।
কীভাবে ট্রেন চেনা যাবে? (ট্রেন নম্বর দিয়ে)
নম্বর শুরু ট্রেন ধরন
0XXX স্পেশাল ট্রেন (হলিডে/টেম্পোরারি)
1XXX মেইল/এক্সপ্রেস/দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেন
2XXX সুপারফাস্ট
5XXX/6XXX যাত্রীবাহী ট্রেন
12XXX রাজধানী, শতাব্দী, জনশতাব্দী
22XXX দুরন্ত, হামসফর, তেজস